High cholesterol: রোজকার ডায়েটে আনুন সামান্য পরিবর্তন, নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল

Effects Of High Cholesterol: নিয়মিত ভাবে জাঙ্ক ফুড, ট্রান্স ফ্যাট এবং অতিরিক্ত ক্যালোরির খাবার খেলে ওজন যেমন বাড়ে তেমনই গোপনে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরলও। যার সরাসরি ইঙ্গিত পাওয়া যায় না, কিন্তু বাড়তে থাকে জটিলতা...

High cholesterol: রোজকার ডায়েটে আনুন সামান্য পরিবর্তন, নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল
যে উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কোলেস্টেরল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2022 | 6:59 AM

How To Lower Cholesterol: রোজকার জীবনযাপন, অতিরিক্ত স্ট্রেস, ধূমপান, মদ্যপান আমাদের শরীরে ডেকে আনছে একাধিক সমস্যা। যার মধ্যে অন্যতম হল কোলেস্টেরল। স্বাভাবিকের তুলনায় কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেই কিন্তু পিছপ পিছু আসে হৃদরোগও। সঙ্গে বাড়ে রক্তচাপ, স্ট্রোকের সম্ভাবনাও। বয়স বাড়লে কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়বে- সেই দিনের আপাতত ইতি। তরুণ সমাজও ভুগছে এই একই সমস্যায়। খেলাধুলোর সুযোগ নেই, দিনের প্রায় বেশির ভাগই কেটে যায় ল্যাপটপ-মোবাইলের স্ক্রিনে, হাত পাতলেই মুখরোচক খাবার, আকাশছোঁয়া চাহিদার গ্রাফ- রোলেস্টেরল বৃদ্ধির একপেশে কারণ এই সবই।

কোলেস্টেরল আদতে মোম জাতীয় পদার্থ, যা আমাদের শরীরের প্রতিটি কোশে পাওয়া যায়। লিভার থেকে কোলেস্টেরল তৈরি হয়। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়ে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও। এ দিকে আবার কোলেস্টেরলকে খাদ্যতালিকা থেকে পুরোপুরি বাদও দিতেও পারবেন না। কারণ, রক্তের সঙ্গে মিশে থাকা এই চর্বি হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে। শরীর ভাল রাখতে ভূমিকা রয়েছে HDL-কোলেস্টেরল। কিন্তু শরীরে যখন খারাপ কোলেস্টেরল বা LDL-এর মাত্রা বেড়ে যায় তখন তা পুরোপুরি ভাবে জমা হয় ধমনীতে। যা রক্তপ্রবাহে বাধা দেয় এবং হার্ট অ্যার্টাকের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে কিন্তু খুব সহজে তা মোটেই শনাক্ত করা যায় না। কারণ শরীর অর্থবহ কোনও ইঙ্গিত দেয় না। দিনের পর দিন ট্রান্স ফ্যাট, কার্বোহাইড্রে, হাই ক্যালোরির খাবার খেলে এবং কোনও রকম শরীরচর্চার মধ্যে না থাকলে সেখান থেকে কোলেস্টেরলের সমস্যা কিন্তু অবধারিত। আর তাই রোজকার জীবনযাপনে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনতে পারলেই সেখান থেকে শরীর থাকবে সুস্থ। কিছু খারাপ অভ্যাস নিজের শরীরের প্রয়োজনেই বাদ দিতে হবে। এবিষয়ে সব পুষ্টিবিদদেরই কিন্তু মতামত এক। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, প্যাকেটজাত খাবার থেকে দূরে থাকা, অযথা মানসিক চাপ নান নেওয়া এবং অতি অবশ্যই শরীরচর্চা- ব্যাস এটুরকু পরিবর্তন করতে পারলেই কোলেস্টেরল থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

ফাইবার, ভিটামিন বেশি করে খান- মাংস, দুধ, চিনি, ময়দা-এসব যত কম খেতে পারবেন ততই কিন্তু ভাল। কারণ এতে রক্তে বাড়বে কোলেস্টেরলের মাত্রা। সেই সঙ্গে চর্বি জমবে লিভারেও। আসবে ফ্যাটি অ্যাসিডের সমস্যা। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজকার ডায়েটে ভিটামিন, ফাইবার, বিভিন্ন বীজ, বাদাম, শাকসবজি এসব বেশি করে রাখতেই হবে।

প্রিজারভেটিভ একেবাকরেই নয়- হাতের সামনে চটজলদি খাবারের সুযোগ খুঁজতে গিয়ে নিয়মিত ভাবেই ম্যাগি, পাস্তা, নুডলসে প্লেট সাজাতে হয় ঠিকই। কিন্তু এই অভ্যাসও দ্রুত বাদ দিন। প্রিজারভেটিভ দেওয়া যে কোনও খাবারই কিন্তু বাড়িয়ে দেয় কোলেস্টেরলের মাত্রা। যে যতই সুদৃশ্য মোড়কে থাক না কেন। সব সময় ফ্রেশ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

শরীরচর্চা আবশ্যক- নিয়ম মেনে রোজ শরীরচর্চা কিন্তু করতেই হবে। অন্তত ১০ মিনিট হলেও সময় বের করে নিন। চিকিৎসকরা বলেন একটানা ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতে. সব বয়সের সব মানুষের জন্যই কিন্তু তা গুরুত্বপূর্ণ। কতটা ঘাম এবং ক্যালোরি ঝরালেন তার উপর নির্ভর করছে আপনার সুস্থ থাকা। কাজেই সচেতন থাকুন।

রোজ রোজ পার্টি নয়- ধূমপান, মধ্যপান থেকে যতটা দূরে থাকতে পারবেন ততই মঙ্গল। দিনের শেষে কাজের ক্লান্তি এড়াতে অনেকেই নিয়ম করে পার্টি করেন। কেউ আবার মজেন অ্যালকোহলে। এই অভ্যাসই সবার প্রথমে দূর করতে হবে। মনে রাখবেন অজান্তেই বাড়তে পরে কোলেস্টেরল। সেখানে সতর্ক হওয়ার সময়-সুযোগ তেমন থাকে না। কিন্তু পরিস্থিতি মুহূর্তের মধ্যেই জটিল আকার পেতে পারে। তাই এখনই সতর্ক হবার সময় এসেছে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: Vitamins: শরীরের প্রয়োজনেই এই দুই ভিটামিন খান একসঙ্গে, গুনে শেষ করতে পারবেন না উপকারিতা