ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ত্বকে সমস্যা! কী বলছেন ডার্মাটোলজিস্টরা?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এমন সমস্যায় ত্বকে লাগানোর কিছু ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তাতে দিন কয়েকের মধ্যে রোগ সেরে যাচ্ছে। সুতরাং খুব চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর বহু লোকই জ্বর আসা, দুর্বল বোধ করা, গায়ে-হাত-পায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলেছেন। তবে উপরিউক্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে নতুন ধরনের উপসর্গের কথাও শোনা যাচ্ছে আজকাল। দিল্লির বেশ কিছু হাসপাতালের ত্বক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর প্রথম কয়েকদিন থেকে শুরু করে সপ্তাহ দুয়েক পরেও কিছু ব্যক্তি এসে ত্বকের সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। কী বলছেন সেইসব রোগী? তাঁদের বক্তব্য, কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে সারা গায়ে বেরতে শুরু করছে রক্তবর্ণ ফুসকুড়ি! কারও কারও ক্ষেত্রে আবার ত্বকে আঁশের মতো ছাল উঠছে! এমনকী যাঁদের আগে কোনওদিন ত্বকের সমস্যা ছিল না, তাঁদের ক্ষেত্রেও এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে!
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এমন সমস্যায় ত্বকে লাগানোর কিছু ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তাতে দিন কয়েকের মধ্যে রোগ সেরে যাচ্ছে। সুতরাং খুব চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। তাছাড়া খুব কম ক্ষেত্রেই এমন ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে। ফলে টিকার সঙ্গে ত্বকের সমস্যার সরাসরি যোগাযোগ আছে কি না তা এখনই বলার সময় আসেনি। প্রশ্ন হল ত্বকে এমন সমস্যা হচ্ছে কেন?
আরও পড়ুন: বর্ষায় এই ৫ ডায়েট মেনে চললে দ্রুত ঝরবে অতিরিক্ত মেদ!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের দেহের অন্দরে বাইরের কোনও বস্তু বা ফরেন বডি ঢুকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় হয়ে ওঠে। টিকাও একধরনের ফরেন বডি। তাই টিকা দেওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় হয়ে ওঠে। টিকাতে থাকে মূল জীবাণুটির সম্পর্কে তথ্য। ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মূল জীবাণুটির সম্পর্কে জেনে যায় ও তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
এখন, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় হয়ে উঠলে শরীরে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা যায় যেমন জ্বর, গায়ে-হাত-পায়ে ব্যথা ইত্যাদি। চিকিৎসকরা বলছেন, ত্বকের এমন সমস্যা ইমিউন সিস্টেম বা শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অতি সক্রিয় হয়ে ওঠার দরুন হওয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সুতরাং টিকা নেওয়ার পর কারও শারীরিক কিছু সমস্যা হচ্ছে মানে তিনি ‘দুর্বল’— এমন নয়। আসলে প্রত্যেকটি মানুষই আলাদা। আলাদা ব্যক্তির ক্ষেত্রে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও ভিন্নরূপে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বকে সমস্যা হলে ফেলে রাখবেন না। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকই বলে দিতে পারবেন কী করতে হবে। তাই ভয় পাবেন না। ভ্যাকসিন নিন। ভ্যাকসিন অনেক বড় বিপদের হাত থেকে আমাদের বাঁচাবে।