Snoring: নাক ডাকা দেখে হাসেন? আদতে এটা মজার নয়, কেন এমনটা হয় শুনলে আঁতকে উঠতে পারেন
Snoring: নাক ডাকা অত্যন্ত সাধারণ সমস্যা হলেও, এই সমস্যা শুধু বিরক্তিকর নয়, শরীরের ভেতরের গুরুতর সমস্যারও ইঙ্গিত হতে পারে। ঘুমের সময় বাতাস নাক বা গলার পেশির মধ্যে দিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে না পারলে তৈরি হয় বিকট শব্দ।

নাক ডাকা অত্যন্ত সাধারণ সমস্যা হলেও, এই সমস্যা শুধু বিরক্তিকর নয়, শরীরের ভেতরের গুরুতর সমস্যারও ইঙ্গিত হতে পারে। ঘুমের সময় বাতাস নাক বা গলার পেশির মধ্যে দিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে না পারলে তৈরি হয় বিকট শব্দ। তাই আমাদের কাছে নাক ডাকা নামে পরিচিত। যা ব্যঘাত ঘটাতে পারে সঙ্গীর ঘুমেও।
নাক ডাকা কোনও বড় রোগের কারণ হতে পারে কী?
নাক ডাকা একা কোনও রোগের লক্ষণ নয়, বরং এটি শরীরের অন্য নানা জটিলতার ইঙ্গিত হতে পারে। যেমন ধরুন –
১। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (OSA): এটি ঘুম সংক্রান্ত এক ব্যাধি। এই রোগে আক্রান্ত হলে ঘুমোনর সময় শ্বাস প্রশ্বাস বারবার ব্যহত হতে পারে। এতে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এমনকি স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
২। স্থূলতা: শরীরে অতিরিক্ত চর্বি, বিশেষ করে গলার চারপাশে বেশি ফ্যাট জমা হলে, বাতাস চলার পথে বাধা সৃষ্টি করে। এটাই লক্ষণ আপনার নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়ার সময় এসেছে।
৩। নাকের ভেতরের সমস্যা: বাঁকা নাসারন্ধ্র বা পলিপ থাকলে বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। ফলে নাক ডাকার মতো সমস্যা তৈরি হয়।
৪। অ্যালার্জি বা ঠান্ডা লাগার সমস্যা: নাক বন্ধ থাকলে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয়, তাতেও নাক ডাকার আওয়াজ বাড়তে পারে।
৫। অতিরিক্ত মদ্যপান ও ঘুমের ওষুধ: অতিরিক্ত মদ্যপান বা ঘুমের ওষুধ নিয়মিত খেলেও সমস্যা হতে পারে। এতে গলার পেশি ঢিলে হয়ে যেতে পারে।
কীভাবে নাক ডাকা কমাবেন? রইল সেই টিপস –
১। সাধারণত চিৎ হয়ে ঘুমালে নাক ডাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই পাশে হয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ঘুমোনোর ভঙ্গিতে এই সামান্য পরিবর্তনে চোখে পড়বে পার্থক্যটা।
২। স্থূলতা কমলে গলার পেশি ও টিস্যুর চাপ কমে যেতে পারে। ফলে নাক ডাকাও কমে যায়।
৩। ঠান্ডা লাগলে বা অ্যালার্জি হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ নিন বা স্যালাইন স্প্রে ব্যবহার করুন। এতেও নাক ডাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রতিদিন অস্বাভাবিক নাক ডাকলে বা দিনের বেলাতেও ক্লান্তি অনুভব করলে, অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
