Infertility And Weight Loss: ডায়েট কিংবা ওজন ঝরানোর সঙ্গে কী সম্পর্ক মাতৃত্বের? জেনে নিন নয়া সমীক্ষার দাবি

Infertility: বন্ধ্যাত্ব্যের সমস্যা আগের তুলনায় অনেকখানিই বেড়েছে। এর জন্য দায়ী কিন্তু স্থূলতাই। যে কারণে ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এর আগে চিকিৎসকরা বার বার বলেন অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে নিতে

Infertility And Weight Loss: ডায়েট কিংবা ওজন ঝরানোর সঙ্গে কী সম্পর্ক মাতৃত্বের? জেনে নিন নয়া সমীক্ষার দাবি
ওজন কমলে সুগম হয় মাতৃত্বের পথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 15, 2022 | 6:58 PM

ওজন বাড়লে (Weight Gain) তার সঙ্গে একাধিক সমস্যা আসে। আজকাল স্থূলতা বা ওবেসিটি (Obesity) জনিত সমস্যায় ভুগছেন বেশিরভাগই। লকডাউনে এই সমস্যা আগের তুলনায় বেড়েছে অনেকখানি। ওজন বাড়লেই সেখান থেকে আসে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মত সমস্যার জন্য মূলত দায়ী কিন্তু অতিরিক্ত ওজন। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা পিসিওএস (PCOS)-এর মত সমস্যার শিকারও অনেকেই। পিসিওএস থাকলে ওজন বাড়েই। আর সেখান থেকে কিন্তু পরবর্তীকালে মাতৃত্বেও সমস্যা আসে। সম্প্রতি ‘পিএলওএস মেডিসিন’ জার্নালে একটি নতুন সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ওজন যদি অতিরিক্তও কমে যায় তাহলে তাতে বাধা হতে পারে না মাতৃত্ব (Infertility)।

স্থূলতা এবং বন্ধ্যাত্য জনিত সমস্যা ছিল এরকম ৩৭৯ জনের উপর চালানো হয় এই গবেষণা। গবেষণা চলাকালীনই এই সব মহিলারা অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলেন। এরপর তাঁদের মাতৃত্বে আর কোনও সমস্যা ছিল না। একই সঙ্গে পরিবর্তন আনেন রোজকার কিছু অভ্যাসেও। নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা করতেন তাঁরা। সেই গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা এবং রুটিনের মধ্যে থাকলে তবেই কিন্তু অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব।

ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ মেডিসিন সেন্টার ফর রিসার্চ ইন রিপ্রোডাকশনের তরফে গবেষক ড্যানিয়েল জে হাইজেনলেডার যেমন জানিয়েছেন, কয়েক দশক ধরে আমরা জানি যে স্থূলতা মাতৃত্বের পথের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় বেশিরভাগ সময়। যে কারণে চিকিৎসকরা গর্ভধারণের আগে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। কারণ ওজন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হলেই কিন্তু একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা জটিল হয়। যে কারণে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, ক্যালোরি মেপে খাওয়া এবং প্রতিদিন অবশ্যই শরীরচর্চার পরামর্শ দেওয়া হয়। যে সব মহিলাদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল তাঁদের মোট দুটো দলে ভাগ করা হয়। একদল দিনের পর দিন ধরে কঠোর ডায়েট আর শরীরচর্চা করে ওজন ঝরিয়েছেন। অন্যদল শুধুই শরীরচর্চা করে ওজন কমিয়েছেন। সেই সঙ্গে অবশ্য তাঁদের বন্ধ্যাত্বের কিছু চিকিৎসাও চলেছে। গড়ে প্রত্যেকের ৭ শতাংশ করে ওজন কমেছে। ১৮৮ জন মহিলার মধ্যে ২৩ জব ১৬ সপ্তাহের মধ্যেই দারুণ ভাবে ওজন কমিয়ে ফেলেছেন। এবং ২৯ জন সফল ভাবে সন্তানের জন্মও দিয়েছেন।

আর এই ভাবে ওজন কমানোয় বিপাক হার বেড়েছে। কমেছে ডায়াবিটিস, হৃদরোগের ঝুঁকি। গর্ভাবস্থায় যাঁদের ওজন বেশি থাকে তাঁদেরই কিন্তু ডায়াবিটিসের আশঙ্কাও থাকে বেশি। আর ডায়াবিটিস থাকলে সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় জটিল পরিস্থিতির তৈরি হতে পারে। নিয়মিত ডায়েট, শরীরচর্চার ফলেই গর্ভধারণের পথ অনেক বেশি মসৃণ হয়েছে বলে অনুমান গবেষকদের। যদিও বন্ধ্যাত্য এবং ওজন হ্রাস বিষয়ে আরও বিশদে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি চিকিৎসকদের একাংশের।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।