AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ওভারিতে সমস্যা? এখনই সাবধান না হলে ঘটতে পারে বিপদ

যদি প্রথমেই এই টিউমারের চিকিৎসা না করা হয় তখনই ক্যান্সারের জন্ম হয়। যদিও ২০ শতাংশ মহিলার প্রথম স্টেজেই এই ক্যান্সার ধরা পড়ে যায়।

ওভারিতে সমস্যা? এখনই সাবধান না হলে ঘটতে পারে বিপদ
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2021 | 9:27 PM
Share

মহিলাদের হওয়া একাধিক রোগের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বর এবং সবচেয়ে ক্ষতিকারক রোগ হল ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার অর্থাৎ ওভারিয়ান ক্যান্সার। মহিলাদের প্রজনন অঙ্গ ডিম্বাশয়ে এই ক্যান্সার হয়। ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার হল যখন ডিম্বাশয়ের অস্বাভাবিক কোষগুলি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখন একটি টিউমার গঠিত হয়। যদি প্রথমেই এই টিউমারের চিকিৎসা না করা হয় তখনই ক্যান্সারের জন্ম হয়। যদিও ২০ শতাংশ মহিলার প্রথম স্টেজেই এই ক্যান্সার ধরা পড়ে যায়।

ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণ

এই ক্যান্সারের লক্ষণ গুলি অন্যান্য সাধারণ রোগের মত। ক্লান্তি, বদহজম, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য, পিঠে ব্যথা, অনিয়ম ঋতুস্রাব, ডার্মাটমিওসাইটিস, প্রস্রাব বৃদ্ধি এই ধরণের লক্ষণ গুলি মূলত এই ক্ষেত্রে দেখা যায়। তবে এমন কোনও নিয়ম নেই যে এই লক্ষণ গুলির পিছনে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার দায়ী। এই ধরণের লক্ষণ গুলি অধিকাংশ মহিলার ক্ষেত্রেই দেখা যায় এবং চিকিৎসার মাধ্যমে কমেও যায়। তবে এর পিছনে ক্যান্সার লুকিয়েও থাকতে পারে। তবে যদি এই ধরণের সমস্যা সম্মুখীন হন তাহলে দেরি না করে দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে এই বিষয়ে পরামর্শ করুন।

ক্যান্সারের কারণ

ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের প্রধান কারণ সম্পর্কে যদিও জানা যায়নি তবুও অনেক চিকিৎসকরা মনে করেন বর্ধিত বয়সও একটি কারণ হতে পারে। এছাড়াও পরিবারে যদি ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের ইতিহাস থাকে, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কিত জিনের জেনেটিক মিউটেশন, যেমন বিআরসিএ১ বা বিআরসিএ২, স্তন, জরায়ু বা কোলন ক্যান্সারের ফলে, স্থূলতা, কোনও ওষুধ বা হরমোন থেরাপির জন্য, গর্ভাবস্থার কোনও সমস্যা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অথবা এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণেও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার হতে পারে।

চিকিৎসা

যেকোনও ক্যান্সারের চিকিৎসা হিসাবে অস্ত্রপাচারকেই বেছে নেওয়া হয়, কারণ ক্যান্সারের কোষ গুলিকে বাদ দেওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল অস্ত্রপাচার। প্রথমেই ধরা পড়লে শুধু টিউমারকে কেটে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু যদি ক্যান্সার অন্যান্য প্রজনন অঙ্গ যেমন ইউটার্স বা ফেলোপিয়ান টিউবের মত অঙ্গে ছড়িয়ে যায় তাহলে সেই অঙ্গকেও অস্ত্রপাচার করে কেটে বাদ দেওয়া হয়। তবে অল্প বয়সী মহিলাদের ক্ষেত্রে চেষ্টা করা হয় যাতে এই প্রজনন অঙ্গ গুলি বাদ না দিতে হয়। সেক্ষত্রে অন্যান্য থেরাপি ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা। যদি অস্ত্রপাচারের পরও ক্যান্সার নির্মূল না হয় তাহলে সেক্ষেত্রে কেমোথেরাপি করা হয়। এছাড়াও রেডিয়েশন ও টার্গেট থেরাপি রয়েছে যা ওভারিয়ান ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

যেকোনও ধরণের ক্যান্সার পুরোপুরি ভাবে নির্মূল হতে সময় লাগে, তার সাথে একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। অস্ত্রপাচার ও যেকোনও ধরণের থেরাপি পরও চিকিৎসার মধ্যে থাকতে হয়। চুল উঠে যাওয়া, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া, শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যাওয়া, খিদে কমে যাওয়া, ডায়রিয়া এই ধরণের নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা দেয়। তাই সময় থাকতে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

আরও পড়ুন: জোর দিন মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর! জীবনধারায় আনুন পরিবর্তন…