Benefits of Crying: চাপা স্বভাবের বলে কান্না চাপছেন বারবার! মন খুলে কাঁদুন, দেখুন কী উপকার পান

Mental Health: মানুষ ছাড়াও অন্যান্য প্রাণী কাঁদে, কিন্তু মন খুলে কান্না করে কজন! বর্তমানে মানুষের জীবন এতটাই আবেগশূণ্যতায় ভরে গিয়েছে যে হাসি-কান্না বাইরে প্রকাশ করা মহাপাপের সমান হয়ে গিয়েছে। কারণ ছাড়া বা কারণে কাঁদলে শুধু চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, তা নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কান্নার রয়েছে বিশেষ উপকারিতা। 

Benefits of Crying: চাপা স্বভাবের বলে কান্না চাপছেন বারবার! মন খুলে কাঁদুন, দেখুন কী উপকার পান
Follow Us:
| Updated on: Mar 28, 2024 | 7:16 PM

বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র জীব, যারা মন খারাপ হলেই কাঁদে। আবেগতাড়িত হয়ে নয়, মন খুলে একমাত্র মানুষই কাঁদতে পারে। বিবাহের পর বাবা-মাকে ছেড়ে  শ্বশুড়বাড়ি যাওয়ার সময় প্রতিটি মেয়েই অঝোরে কাঁদে। অনেকে কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞানও হারিয়ে ফেলেন। এই মুহূর্তটি সত্যিই ভীষণ কষ্টের। তবে ওই কান্নার পর গোটা শরীরের মধ্যে এক মানসিক শান্তিরও প্রকাশ পায়। মনটা খালি হয়ে যায়। বুকের ভিতর হু হু করে ওঠাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে সেই কষ্ট চেপে রাখা একেবারেই উচিত নয়। মানুষ ছাড়াও অন্যান্য প্রাণী কাঁদে, কিন্তু মন খুলে কান্না করে কজন! বর্তমানে মানুষের জীবন এতটাই আবেগশূণ্যতায় ভরে গিয়েছে যে হাসি-কান্না বাইরে প্রকাশ করা মহাপাপের সমান হয়ে গিয়েছে। কারণ ছাড়া বা কারণে কাঁদলে শুধু চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, তা নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কান্নার রয়েছে বিশেষ উপকারিতা।

সেড স্ট্রেস হরমোন

বিজ্ঞানীদের মতে, মন খুলে কাঁদলে শরীর থেকে সক্রিয়ভাবে কর্টিসল, একটি স্ট্রেস হরমোন অপসারিত হয়। মানসিক চাপের মাত্রাও কমাতে সাহায্য করে। শুধু মানসিক চাপই নয়, সামগ্রিক চাপ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

মুড-বুস্টিং হরমোন

কান্নার মাধ্যমে স্ট্রেস হরমোন নিঃসৃত করার পাশাপাশি, মন খুলে কাঁদলে অক্সিটোসিন এবং এন্ডোরফিনের মতো মুড বুস্টিং হরমোনগুলির উত্পাদনও বৃদ্ধি ঘটে। অক্সিটোসিন মানসিক ও শারীরিক সুস্থ ও শান্ত রাখতে সাহায়্য করে।  চাপ ও উদ্বেগও দূর করে।

মানসিক ও শারীরিক ব্যথা উপশম

বেশ কিছু গবেষণায় জানা গিয়েছে, মন থেকে কাঁদলে মানসিক চাপ হ্রাসের পাশাপাশি শারীরিক নানা ব্যথা ও যন্ত্রণাও উপশম হয়। খুব জোড়ে জোড়ে কাঁদলে শরীরের ব্যথা, ক্লান্তি দূরে সরে যায়। অনেকসময় সাহায্য বা সান্ত্বনা চাওয়ার মতো শব্দ বের হয় না, তখন চোখের অশ্রু দেখেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন অনেকে। চাপা স্বভাবের যারা তারা নিদের মনের কথা অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারেন না। তাদের কাছে কান্না বেশ শক্তির কাজ করে। কিন্তু শারীরিক ও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে অঝোরে, শিশুর মতো কান্না করা প্রয়োজন।

কুল ইয়োর ব্রেন ডাউন

কান্নার জেরে মস্তিষ্কের মধ্যে রক্তপ্রবাহ বেশি হতে থাকে। জোরে জোরে শ্বাস নেওয়ার ফলে মস্তিষ্কের মধ্যে অক্সিজেনও প্রবেশ করে। মেজাজ হারিয়ে ফেললে তা পজিটিভ শক্তির জোগান দেয় কান্না। এছাড়া মস্তিষ্কের তাপমাত্রাও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। মেজাজ উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে স্বস্তির অনুভূতিও তৈরি হয়।

ঘুমের উন্নতি হয়

মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কান্নার আরেকটি সুবিধা হল কাঁদলে মন খালি হয়ে যায়, চোখেরও আরাম হয়, গভীর ঘুম হতেও সাহায্য করে।  যখন কাঁদেন, তখন প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র সক্রিয় হয়। স্ট্রেসের অবস্থা থেকে এই প্রক্রিয়ায় স্বস্তি, শান্ত ও বিশ্রামের বোধ জাগে, যা ঘুমতেও সাহায্য করে।