Vitamin D: নিয়মিত ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খান? ওভারডোজ় হয়ে যাচ্ছে কিনা, বুঝবেন যে লক্ষণে…

Health Tips: আপনি কোনও দিন ভেবে দেখেছেন, যদি শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণে বেশি হয়ে যায়, তাহলে কীরূপ সমস্যা দেখা দিতে পারে?

Vitamin D: নিয়মিত ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খান? ওভারডোজ় হয়ে যাচ্ছে কিনা, বুঝবেন যে লক্ষণে...
Image Credit source: istockphoto.com
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 20, 2022 | 6:41 AM

সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে চাইলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন (Vitamins) ও মিনারেল প্রয়োজন। শরীরে যদি কোনও পুষ্টির ঘাটতি থাকে, তাহলে তার লক্ষণও প্রকাশ পায়। এমনই একটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন হল ভিটামিন ডি। রক্তে ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য ভিটামিন ডি জরুরি। এই ভিটামিনের জেরে আপনার দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য, হাড়ের স্বাস্থ্য মজবুত হয়। আর এই ভিটামিনের সবচেয়ে বড় উৎস হল সূর্যের রশ্মি। এছাড়াও ডিম ও দুধের মতো কিছু খাদ্যের মধ্যেও ভিটামিন ডি সামান্য পরিমাণে পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি কোনও দিন ভেবে দেখেছেন, যদি শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণে বেশি হয়ে যায়, তাহলে কীরূপ সমস্যা দেখা দিতে পারে?

কোনও জিনিসই অত্যধিক ভাল নয়। পরিমাণের চেয়ে বেশি সব কিছুই শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। ভিটামিন ডি-এর ক্ষেত্রেও এই বিষয়টা ব্যতিক্রম নয়। শরীরে যদি ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ বেশি হয়ে যায়, তাহলে এরও কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। কী সেগুলো, চলুন দেখে নেওয়া যাক…

শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ বেড়ে গেলে তা আমাদের পরিপাকতন্ত্রে লক্ষ্য করা যায়। আসলে ভিটামিন ডি বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রাও বেড়ে যায়। আর উচ্চ ক্যালসিয়ামের কারণে পেটে ব্যথা, খিদে কমে যাওয়া, বমি-বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়ারিয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের ক্ষেত্রে আবার ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যাও লক্ষ্য করা যায়।

অনেক ক্ষেত্রে আবার ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীরে অস্বস্তি হতে থাকে। আপনি হয়তো সহজেই এই লক্ষণের কারণটি বোঝা যায় না। কিন্তু সাধারণ ভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়ারিয়ার সমস্যা দেখা দেয়ই। আর এটাই আমাদের শরীরে অস্বস্তি বাড়িয়ে তোলে। এতে শরীরে ক্লান্তি তৈরি হয়। কোনও কাজ করার ক্ষমতা থাকে না কিংবা ইচ্ছা জাগে না।

পুষ্টিবিদদের মতে, যদি শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা বেড়ে যায়, তখন এর প্রভাব মস্তিষ্কেও পড়ে। শরীরে এই ভিটামিনের মাত্রা বেড়ে গেলে মানুষের মনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। অর্থাৎ ওই ব্যক্তি সহজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। যদিও এটা শরীরের ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণেও হয়। কিন্তু সব সময় মনে রাখবেন, ক্যালসিয়ামের সঙ্গে ওতপ্রোত জড়িয়ে রয়েছে ভিটামিন ডি। অর্থাৎ শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে ক্যালসিয়ামের ওপরও প্রভাব ফেলে। একই বিষয়টা ঘটে যখন এই ভিটামিনের পরিমাণ বেড়ে যায়।

ভিটামিন ডি-এর অন্যতম প্রধান কাজ হল শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ করা। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে সেখান থেকে অতিরিক্ত মাত্রা ক্যালসিয়ামও জমতে থাকে। আর এই অতিরিক্ত মাত্রার ক্যালসিয়ামের কারণে কিডনিতে পাথরও হতে পারে। অর্থাৎ অতিরিক্ত ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে কিডনির।

শরীরে ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণ করতে অনেকেই ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টের সাহায্য নেন। কিন্তু খেয়াল রাখবেন, যেন এই সাপ্লিমেন্টের ডোজ যাতে বেশি না হয়ে যায়। সাধারণত খাবারের মাধ্যমে যে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা হয়, তাতে সেই রূপ কোনও কু-প্রভাব শরীরে পড়ে না। তবুও সুস্থ থাকতে ছোট ছোট বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি।