COPD: COPD কি? হাঁপানির সঙ্গে এর ফারাক কোথায়, কী-কী লক্ষণ থাকে জানুন
Asthma: সিওপিডি আর হাঁপানির মধ্যে অনেক রকম মিল রয়েছে। যার মধ্যে শ্বাসকষ্টও থাকে। সিওপিডির সমস্যা থাকলে তা ক্রমাগত বাডডতে থাকে। অ্যালার্জেন হাঁপানির উপসর্গ বাড়িয়ে দেয়
ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ-COPD হল একটি দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসযন্ত্রের অসুখ। এই রোগে শ্বাসযন্ত্র সম্পূর্ণ বিপরীত মুখী হয়ে কাজ করে। আমরা যখন শ্বাস নিই তখন আমাদের শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড বেরিয়ে যায় এবং অক্সিজেন প্রবেশ করে। তবে যাদের এই COPD থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই সুযোগ থাকে না। শরীর থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইজ বেরোতে না পারলে শ্বাসনালী সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ফলে শ্বাস নেওয়া অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। COPD-এর প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং প্রচুর পরিমাণ কম।
বিভিন্ন ফুসফুসের রোগকেই এই COPD-এর মধ্যে ফেলা হয়। এমফিসিমা এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস হলে তাও পরবর্তীতে সিওপিডি-র আকার নেয়। দীর্ঘদিন এভাবে সমস্যা হতে হতে ফুসফুসের উপর চাপ পড়ে এবং ফুসফুসের ক্ষতি হয়। সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে ব্রঙ্কিয়াল টিউবগুলির উপর। এই অ্যালভিওলাই বায়ু পরিবহনের কাজ করে। দীর্ঘদিন ধরে এখানে শ্লেষ্মা জমতে জমতে ক্রনিক কাশি তৈরি হয়। যা এমফিসেমা নামে পরিচিত। সিগারেটের ধোঁয়া এবং অন্যান্য বিষাক্ত রাসায়নিক কণার প্রভাবে ব্রঙ্কিওল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদি আলফা-1 অ্যান্টিট্রিপসিনের ঘাটতি থাকে যৈ সিওপিডির জন্য জেনেটিক রিস্ক ফ্যাক্টর হিসেবে পরিচিত এবং বয়স ৬৫ এর বেশি হয় তাহলে এই সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়াও ক্রমাগত বায়ু দূষণ, ছোট থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে এই COPD-এর সম্ভাবনা বাড়ে।
COPD-এর সাধারণ উপসর্গ
শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া বুক সংকুচিত হয়ে থাকা গভীর ভাবে শ্বাস নিতে না পারা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা প্রায়শই লেগে থাকে শ্বাসনালীর সংক্রমণ ক্রমাগত ভাবে ওজন কমতে থাকা
সিওপিডি আর হাঁপানির মধ্যে অনেক রকম মিল রয়েছে। যার মধ্যে শ্বাসকষ্টও থাকে। সিওপিডির সমস্যা থাকলে তা ক্রমাগত বাডডতে থাকে। অ্যালার্জেন হাঁপানির উপসর্গ বাড়িয়ে দেয়। সিওপিডির প্রধান কারণ হল ধূমপান। তবে হাঁপানি থাকলেই যে COPD হবে এমনটা একেবারেই নয়।
COPD-এর সমস্যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানসিক স্বাস্থ্য। অর্থাৎ এই রোগীরা সব সময়ই খুব ভয় পান। যদি পরিবারের কারোর COPD-এর সমস্যা থাকে তাহলে তার আগে থেকেই মানসিক চিকিৎসা শুরু করুন। মনে যত বেশি চিন্তা ভয় চেপে বসবে ততই বাড়বে এই সমস্যা। এক্ষেত্রে বাড়ির লোককেও সজাগ থাকতে হবে। জীবনযাত্রা সঠিক ভাবে মেনে চলতে পারলে এই সমস্যা অনেকটাই দূর করা সম্ভব হবে।