Guava: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাওয়ার হাউস পেয়ারা, কখন কীভাবে খেলে পাবেন সবচেয়ে বেশি উপকার?
পেয়ারায় রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি, সেইসঙ্গে থাকে ভিটামিন এ, লাইকোপেন, পটাসিয়াম, ফাইবার এবং আরও অনেক খনিজ উপাদান। এই উপাদানগুলি শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজকে সচল রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু কখন এবং কীভাবে এই ফলটি খেলে আপনি এর সম্পূর্ণ উপকারিতা লাভ করবেন?

সস্তা, সহজলভ্য এবং পুষ্টিতে ভরপুর—এমন ফলের কথা বললে সবচেয়ে প্রথমে নাম আসে পেয়ারার (Guava)। শুধু ভিটামিন সি বা ফাইবারে নয়, এই ফলটি হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একখানা সত্যিকারের ‘পাওয়ার হাউস’। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সঠিক সময়ে এবং সঠিক নিয়মে পেয়ারা রাখলে তা আপনার শরীরকে দেবে রোগ প্রতিরোধের দারুণ ক্ষমতা। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পেয়ারায় রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি, সেইসঙ্গে থাকে ভিটামিন এ, লাইকোপেন, পটাসিয়াম, ফাইবার এবং আরও অনেক খনিজ উপাদান। এই উপাদানগুলি শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজকে সচল রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু কখন এবং কীভাবে এই ফলটি খেলে আপনি এর সম্পূর্ণ উপকারিতা লাভ করবেন? নিম্নে তা নিয়ে আলোচনা করা হল।
পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি? বিশেষজ্ঞদের মতে, ফল খাওয়ার সঠিক সময় শরীরের প্রয়োজন ও হজম ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। তবে পেয়ারার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট সময়ের কথা বিশেষজ্ঞরা জানান। যখন এটি খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
১. প্রাতরাশ বা সকালের খাবারের পরে (সকালের মধ্যবর্তী সময়ে):
সকালে ভারী ব্রেকফাস্টের পর বা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে পেয়ারা খাওয়া খুব ভাল। এই সময় পেয়ারা খেলে শরীরে শক্তি তৈরি হয়। পেয়ারায় থাকা ফাইবার ও প্রাকৃতিক শর্করা আপনাকে দিনের বাকি সময়ের জন্য শক্তি জোগাবে। এ ছাড়া হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়। পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং হজম ক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।
২. দুপুরের খাবারের আগে বা পরে (খিদে আটকাতে):
পেয়ারা ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় তা পেট দীর্ঘ সময় ভরা রাখতে সাহায্য করে। দুপুরের খাবারের আগে একটি পেয়ারা খেলে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও অনেকটাই সুবিধা হয়।
৩. বিকেলের স্ন্যাকস হিসেবে (ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য):
বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিকেলের দিকে একটি পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটি খেলে ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কীভাবে পেয়ারা খেলে সর্বাধিক উপকার পাওয়া যাবে?
১. খোসাসহ চিবিয়ে খান (সবচেয়ে সেরা উপায়):
পেয়ারার খোসা এবং বীজের মধ্যেই থাকে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার। তাই এটিকে ভালভাবে ধুয়ে খোসাসহ চিবিয়ে খান। এটি দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সহায়ক।
২. পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ:
সারাদিনে একটি মাঝারি আকারের পেয়ারা খাওয়াই যথেষ্ট। অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা খেলে অনেক ফাইবার একসঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে। তাতে পেটে অস্বস্তি বা গ্যাসের সৃষ্টি করতে পারে।
৩. চিনি মেশানো থেকে বিরত থাকুন:
পেয়ারা এমনিতেই মিষ্টি। এর রস করে বা অন্য কোনও উপায়ে খাওয়ার সময় এর মধ্যে ভুল করেও চিনি যোগ করবেন না। এতে ফলের প্রাকৃতিক গুণ কমে যায় এবং ক্যালোরির পরিমাণ বাড়ে।
৪. স্যালাডে বা দইয়ের সঙ্গে:
পেয়ারা ছোট ছোট টুকরো করে ফলের স্যালাডে বা টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পুষ্টিগুণ আরও বাড়ে।
