Heat Wave: ঝলসানো গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী-কী খাবেন?
Heat Stroke: কোভিডের বিধিনিষেধ স্থিতিশীল হতেই রাজ্যে থাবা বসিয়েছে হিট ওয়েভ। এই অবস্থায় ছোট থেকে বড় সবাইকেই সুস্থ থাকার জন্য বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
Summer Diet Tips: এখনই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া দফতরের তরফেও সতর্কতা বার্তা জারি করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে আগামী কয়েক দিনেও চলবে এই তাপপ্রবাহ। বৃষ্টির দেখা মিলবে কবে, তারও কোনও ইঙ্গিত নেই। এত দিন করোনার ভয় ছিল। কোভিডের বিধিনিষেধ স্থিতিশীল হতেই রাজ্যে থাবা বসিয়েছে হিট ওয়েভ (Heat Wave)। এই অবস্থায় ছোট থেকে বড় সবাইকেই সুস্থ থাকার জন্য বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। কারণ এর সঙ্গে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের (Heat Stroke) ঝুঁকি। এই কারণেই প্রয়োজন না থাকলে দুপুর ১১-৪ টের মধ্যে বাড়ির বাইরে বেরোতে মানা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর সঙ্গে রয়েছেই সর্দি-গর্মি হওয়ার সম্ভাবনা।
মূলত প্রচণ্ড গরমে শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। এই সময় আমাদের হৃদপিণ্ড দ্রুত স্পন্দিত হয় এবং রক্ত পাম্প করার জন্য একে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এই কারণে ত্বকের উপরিতলে ঘাম তৈরি হয়। এই ঘাম আমাদের শরীরকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। যদি আপনার শরীর নিজে থেকে ঠান্ডা হতে না পারে, তখন সমস্ত হৃদপিণ্ড-সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলির উপর চাপ পড়ে এবং তাদের ক্ষতি করে। তখন যে মারাত্মক অবস্থা ঘটে তাকেই হিট স্ট্রোক বলা হয়। অতিরিক্ত পরিমাণ জল পান করা থেকে শুরু করে সুতির হালকা রঙের জামাকাপড় পরা- এই সব কিছু মেনে চলার পরও কিন্তু কমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। এর সঙ্গে খাদ্যতালিকাতেও বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি।
এই প্রসঙ্গে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কুন্তল বিশ্বাস TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন, ছোট থেকে বড় এই সময় সবাইকে প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে। এর পাশাপাশি ওআরএস-এর জল পান করতে থাকুন। মরসুমি ফলকে ডায়েটে রাখুন। তরমুজ, পেঁপে-এর মতো ফল বেশি করে খান। কিন্তু রাস্তায় কাটা ফল এড়িয়ে চলুন। এতে গরমে ডায়ারিয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তেল, ঝাল-মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। এই পরিস্থিতিতে জাঙ্ক ফুড একদম নয়। এর পাশাপাশি ডায়েটে রাখুন টক দইকে।
শরীরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে টক দই ভীষণ কার্যকরী। যদি আপনি টক দই না খান, তাহলে লস্যি, বাটারমিল্কের মত পানীয়গুলো ডায়েটে রাখতে পারেন। এতে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও কমে যাবে। এই সুস্বাদু গ্রীষ্মকালীন পানীয়গুলো দুপুরের খাবারের পর ও রাতের খাবারের পর খেতে পারেন।
গরমে বারবার ওআরএস-এর জল পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বলছেন, এতে শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকবে। যদি ওআরএস-এর জল পান করতে সমস্যা হয়, তাহলে ডাবের জলকে কোনও ভাবেই এড়াবেন না। গরমে হাইড্রেশন যতটা জরুরি, তার সঙ্গে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখাও দরকার। আর ডাবের জলে ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে যা আপনার শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করবে।
এর পাশাপাশি হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে কাঁচা আম হল সেরা। এর জন্য কাঁচা আম নিয়ে সেদ্ধ করে ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর আমের পাল্প নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। গ্লাসের মধ্যে আমের পাল্প, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো,গুড়, নুন ও কালো গোলমরিচ দিয়ে মিশিয়ে নিন। জলের সঙ্গে এই মিশ্রণটি মিশিয়ে নিয়ে নিয়মিত খেতে পারেন।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহ থেকে শিশুদের বাঁচাতে কী-কী করণীয়, কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক