Boiled Egg vs Fried Egg: সেদ্ধ বনাম ভাজা, ব্রেকফাস্টের পাতে সকাল সকাল কেমন ডিম রাখা ভাল?
ডিমে আছে উচ্চমানের প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি১২, আয়রন সহ নানা জরুরি পুষ্টি উপাদান। প্রতিদিন সকালে খাবারের পাতে ডিম রাখলে শরীর দীর্ঘস্থায়ী এনার্জি পায়, মস্তিষ্ক থাকে সতেজ, আর হজমতন্ত্রও কাজ করে ভালভাবে। তবে প্রশ্ন হল কীভাবে ডিম খাওয়া শরীরের জন্য বেশি উপকারী?

পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষদের অন্যতম জনপ্রিয় ব্রেকফাস্ট খাবার ডিম। এতে আছে উচ্চমানের প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি১২, আয়রন সহ নানা জরুরি পুষ্টি উপাদান। প্রতিদিন সকালে খাবারের পাতে ডিম রাখলে শরীর দীর্ঘস্থায়ী এনার্জি পায়, মস্তিষ্ক থাকে সতেজ, আর হজমতন্ত্রও কাজ করে ভালভাবে। তবে প্রশ্ন হল কীভাবে ডিম খাওয়া শরীরের জন্য বেশি উপকারী? সেদ্ধ না ভাজা, দুটিরই আলাদা সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। সেদ্ধ ডিমে ক্যালোরি কম, আবার ভাজা ডিমে স্বাদের সঙ্গে যোগ হয় তেল ও বাড়তি ফ্যাট। কিন্তু সব তেলই যে খারাপ তা নয়, বরং কিছু তেল শরীরের জন্য উপকারীও বটে। তাই সকালের প্লেটে কোন ডিমটি থাকবে, সেটি ঠিক করতে হলে বুঝতে হবে দু’ধরনের রান্নার প্রভাব শরীরের ওপর কেমন পড়ে।
সেদ্ধ ডিমের পুষ্টিগুণ
- কম ক্যালোরি: সেদ্ধ ডিমে তেল লাগে না, তাই অতিরিক্ত ফ্যাট ও ক্যালোরি বাড়ে না।
- সহজে হজম হয়: নরম সেদ্ধ ডিম শরীরে দ্রুত শোষিত হয়।
- পুষ্টি: সেদ্ধ করার সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকায় ডিমে ভিটামিন বি১২, প্রোটিনের মান বজায় থাকে।
ভাজা ডিমের পুষ্টিগুণ
- স্বাদের ফারাক: সামান্য তেলে ভাজা ডিমে স্বাদ ও টেক্সচারের ভিন্নতা আসে।
- ভাল তেল হলে উপকার: অলিভ অয়েল বা সূর্যমুখীর তেলের মতো স্বাস্থ্যকর তেলে ভাজলে হৃদযন্ত্রের পক্ষে তা ক্ষতিকর নয়।
- ফ্যাট উপাদান বেশি: তেল শোষণ করার ফলে ক্যালোরি বেড়ে যায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন করে তুলতে পারে।
সেদ্ধ নাকি ভাজা কোন ডিমটি ভাল?
ডায়েট কন্ট্রোল বা ফিটনেসের জন্য সেদ্ধ ডিম সেরা। অন্যদিকে শরীরচর্চা বা হাই-প্রোটিন ব্রেকফাস্টের জন্য ভাজা ডিমও চলতে পারে, তবে ভাল তেল বেছে নিতে হবে। আবার হার্টের স্বাস্থ্যে ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে সেদ্ধ ডিম নিরাপদ।
