Morning Diet: সকালে উঠে কফি নয়, খান এই ফল! দ্রুত ওজন কমানো থেকে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রোধ করা, সব সামলাবে একা হাতে

Health Benefits of Apple: কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, ওজন ঝরাতে, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে, ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমাতে, হজমক্ষমতার বৃদ্ধিতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশে আপেলের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

Morning Diet: সকালে উঠে কফি নয়, খান এই ফল! দ্রুত ওজন কমানো থেকে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রোধ করা, সব সামলাবে একা হাতে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2022 | 6:44 AM

সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফি (Coffee) পান না করলে যেন সকালটাই শুরু হয় না অনেকের! ক্লান্ত এবং তন্দ্রাচ্ছন্ন বোধ করার সময় এক কাপ কফিই পারে হার্ট রেট বাড়িয়ে, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, দেহের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে এবং স্নায়ুতে উদ্দীপনা জুগিয়ে আপনাকে জাগিয়ে রাখতে! তারপরেও চিকিৎসক ও ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, সকালে উঠে আপনার উচিত কফি ছেড়ে একটি আপেল খাওয়া! তাঁরা বলছেন, কফিতে থাকা ক্যাফিনের কিছু গুণ অবশ্যই রয়েছে। তবে বিপদও রয়েছে একাধিক। মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফিন বাড়িয়ে তুলতে পারে অ্যাসিডিটির সমস্যা। এছাড়া উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি, খনিজের হানি, কিডনির সমস্যার উদ্রেক ঘটাতে পারে কফি। এমনকী শরীরে অস্থিরভাবের বৃদ্ধি ঘটায় পানীয়টি। অতএব কফি পান এড়াতে চাইলে অত্যন্ত ভালো বিকল্প হল একটি বড়, চকচকে স্বাস্থ্যকর আপেল খাওয়া।

আপেলের গুণ

পৃথিবীর সবচাইতে জনপ্রিয় ফলগুলির মধ্যে অন্যতম আপেল। আর তার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। প্রথমত আপেল সহজেই কিনতে পাওয়া যায়। স্বাদেও খাসা। আপেলে রয়েছে একাধিক উপকারী খনিজ। এছাড়া রয়েছে অতীব শক্তিশালী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। উদাহরণ হিসেবে কুয়েরসিটিন, ভিটামিন ই, ক্যাটেচিন, ভিটামিন সি, ফ্লোরিডজিন, রেটিনল, বিটা-ক্যারোটিন, এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডের কথা বলা যায়। এই ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি স্তিমিত করার ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, ওজন ঝরাতে, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে, ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমাতে, হজমক্ষমতার বৃদ্ধিতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশে আপেলের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

আপেলে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। এই ধরনের ফাইটোকেমিক্যাল উচ্চ রক্তচাপ, সুগার, স্ট্রোক, হার্টের অসুখ, কোলেস্টেরলের মতো ক্রনিক সমস্যা প্রতিরোধে সক্ষম। অতএব কফির সঙ্গে তুলনা করলে আপেলের পাল্লাই ভারী হয়ে ওঠে ক্রমশ— তাই না?

তাছাড়া কফির সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে আপেলে ক্যাফিন থাকে না। ক্যাফিন স্নায়ুকে উত্তেজিত করে তুলে ক্লান্তি কাটায় ঠিকই তবে ক্যাফিনের নিজস্ব কোনও গুণ নেই। অন্যদিকে আপেলে উপস্থিত প্রাকৃতিক শর্করা বা ফ্রুক্টোজ ক্যাফিনের তুলনায় ঢের বেশি এনার্জি দিতে এবং উদ্দীপনার সঞ্চার ঘটাতে পারে। আপেলে থাকা সুগার দ্রুত শরীরে ভেঙে যায় ও এনার্জি প্রদান করে। ফলে আপেল খাওয়ার অব্যবহিত পরেই শরীর হয়ে ওঠে চনমনে। এছাড়া কফি খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে শরীরে ফের অবসন্ন বোধ করে। আপেল খেলে কিন্তু এমনটি হয় না। আপেলের প্রভাব স্থায়ী হয় দীর্ঘসময় অবধি। এছাড়া কফিতে কোনও ফাইবার থাকে না। তাই বেশি কফি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। অপরদিকে আপেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা পেটে ভরতি রাখে দীর্ঘসময় পর্যন্ত। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও তৈরি হয় না। তাছাড়া ফাইটোকেমিক্যাল, ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়া সবসময়ই কফির মতো গুণহীন পানীয় গ্রহণের তুলনায় অনেক বেশি উপকারী। তাছাড়া যে সকল ব্যক্তি ওজন কমাতে চাইছেন তাঁদের জন্য আপেল একটি সঠিক খাদ্য। অতএব পরের দিন থেকে আপনি যদি সকালটা দুরন্ত উত্তেজনা সহকারে কাটাতে চান তাহলে কফির কাপের বদলে ঠোঁটে ছোঁয়ান আপেল।