Type-2 Diabetes: সুগার এড়াতে চায়ে শুধু চিনি বন্ধ করলে চলবে না, সঙ্গে বিস্কুট খাওয়াও ছাড়ুন

Foods to Avoid: বেশিরভাগ মানুষের ধারণা, সন্দেশ-রসগোল্লা আর চায়ে চিনি খেলেই সুগার বাড়ে। চিনি স্বাস্থ্যের জন্য বিষ। মিষ্টি জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে চিনি ব্যবহার হয়। চিনি দেওয়া খাবার খেলে শরীরে প্রচুর ক্যালোরি প্রবেশ করে। এখান থেকে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে ঠিকই, কিন্তু এটাই একমাত্র কারণ নয়।

Type-2 Diabetes: সুগার এড়াতে চায়ে শুধু চিনি বন্ধ করলে চলবে না, সঙ্গে বিস্কুট খাওয়াও ছাড়ুন
Follow Us:
| Updated on: May 02, 2024 | 2:47 PM

ডায়াবেটিস ধরা পড়লে তখনই খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন হন। তার আগে পর্যন্ত যা ইচ্ছে তা-ই খেতে থাকেন। কিন্তু সুগার লেভেল বেড়ে গেলেই করলার জুস, ওটস, আপেল খান। তবে, আপনি কি জানেন, আপনার ভুল খাদ্যাভ্যাসের জেরেই ডায়াবেটিস হানা দেয়? বেশিরভাগ মানুষের ধারণা, সন্দেশ-রসগোল্লা আর চায়ে চিনি খেলেই সুগার বাড়ে। চিনি স্বাস্থ্যের জন্য বিষ। মিষ্টি জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে চিনি ব্যবহার হয়। চিনি দেওয়া খাবার খেলে শরীরে প্রচুর ক্যালোরি প্রবেশ করে। এখান থেকে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে ঠিকই, কিন্তু এটাই একমাত্র কারণ নয়। এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।

কেক ও পেস্ট্রি: চিনি, ময়দা ও দুধ দিয়ে তৈরি কেক, পেস্ট্রি খেলে বাড়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। এই ধরনের ডেজার্টে‌ উচ্চ পরিমাণে কার্ব‌স থাকে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে।

পাউরুটি: অনেকেই সকালের জলখাবারে পাউরুটি খান। ময়দার তৈরি এই খাবার ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী নয়। সুগার লেভেল বাড়ানোর পাশাপাশি পাউরুটি খেলে হৃদরোগ, কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এমনকি বাজারে যে সব ব্রাউন ব্রেড পাওয়া যায়, সেগুলোও খাওয়া উচিত নয়।

এই খবরটিও পড়ুন

বিস্কুট: চায়ের সঙ্গে চিনি খাওয়া ছেড়েছেন? এবার বিস্কুট খাওয়াও ছাড়ুন। খিদের মুখে বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও তা বদলে ফেলুন। বিস্কুটের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও চিনি রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

ময়দা: ময়দার তৈরি কেক, বিস্কুট, পাউরুটি ছাড়ার কথা এতক্ষণে ভেবে নিয়েছেন। ময়দার তৈরি যে কোনও খাবারই আপনাকে ছাড়তে হবে। ময়দার তৈরি রুটি, লুচি, পরোটা খেলেও বাড়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। ময়দার মধ্যে ৭০ শতাংশ স্টার্চ, অল্প প্রোটিন থাকে। কোনও রকম ভিটামিন, মিনারেল বা ফাইবার থাকে না। এতে ইনসুলিন কার্যকারিতা কমে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার: চিপস, পিৎজা, বার্গার থেকে শুরু করে যে কোনও প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবারে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে গেলে এসব খাবার খাওয়া ছাড়তে হবে।

রান্নার তেল: ফুড অ্যাপের দরুন বাইরের খাবার সহজেই বাড়িতে বসে খাওয়া যায়। কিন্তু বাইরে সব খাবার ভাল তেলে রান্না হয় না। আর তেলের মধ্যেও ফ্যাট থাকে। বাড়িতেও আপনি যদি সাদা তেলে বেশি রান্না করেন, তাতেও বাড়বে রোগের ঝুঁকি। রান্নায় যত কম তেল ব্যবহার করবেন, শরীরের জন্য উপকারী।