AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Heart Disease: ভারতে কম বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, নিজেকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে?

আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারাতে অল্প কিছু পরিবর্তন আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যে পরিবর্তন আনতে পারে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সক্রিয় থাকা। আমাদের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের ব্যায়ামের গুরুত্ব অনেক বেশি পরিমাণে বুঝতে হবে।

Heart Disease: ভারতে কম বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, নিজেকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে?
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2021 | 12:42 PM
Share

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, কম বয়সী ভারতীয়রা পশ্চিমের দেশগুলোর তুলনায় হৃদরোগের ঝুঁকিতে এক দশক আগে থেকেই ভুগছে। এই গবেষণায় দেখা যায় যে ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে কার্ডিওভাসকুলার রোগের (CVDS) উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

কার্ডিওভাসকুলার রোগের কারণে বিশ্ব জুড়ে যে মৃত্যু হয় তার এক পঞ্চমাংশ ইতিমধ্যেই ভারতে হচ্ছে। আর এটা কম বয়সীদের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যাচ্ছে। এই বয়স-মানসম্মত মৃত্যুর হার ভারতে প্রতি ১ লক্ষে ২৭২ জন। এই গড় বিশ্বব্যাপী ২৩৫-এর তুলনায় বেশি।

কম বয়সী ভারতীয়দের হৃদরোগের এই বর্ধিত ঝুঁকি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জিনের ওপর কিছুটা নির্ভর করে। এছাড়াও পরিবেশগত কারণগুলিও দায়ী। দুর্ভাগ্যক্রমে, এই পরিবেশগত কারণগুলি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই রোগের ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। দীর্ঘ সময় কাজ করা, প্রায়ই কাজের চাপে থাকা এবং কম ঘুমানো আমাদের জীবনে নতুন রুটিন হয়ে উঠেছে। আধুনিক কাজের সেটআপগুলিতে অনেক বেশিক্ষণ ধরে বসে থাকা এবং ব্যায়াম না করা খুব সাধারণ ব্যাপার। এটি হৃদরোগের দুর্বল স্বাস্থ্যের ঝুঁকি প্রায় দ্বিগুণ করতে পারে।

Heart Attack

২০১৯ সালে সাফোলালাইফ দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী শহুরে মানুষদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ মানুষের হৃদরোগের গভীর সম্ভাবনা আছে। এঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন না, তাই ঝুঁকি বেশি। এই সত্ত্বেও তাঁদের মধ্যে ৯২ শতাংশ তো এটা মানতেই রাজি নন যে হৃদরোগের জন্য দায়ী শীর্ষস্থানীয় ৩ টি কারণের মধ্যে একটি হল ব্যায়ামের অভাব। এই সচেতনতার অভাব সামগ্রিক বিষয়টির গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তোলে।

অল্পবয়সীদের মধ্যে, আমরা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য খাবারের গুরুত্ব সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান সচেতনতা দেখতে পাই। কিন্তু আদপে একটা দীর্ঘ এবং ক্লান্তিকর দিনের পর, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকে। অর্ডার দেওয়া এখন এতটাই সহজ হয়ে গেছে যে অস্বাস্থ্যকর খাবার আপনার কাছে নিজে থেকে এসে হাজির হতে পারে। কম ব্যায়াম এবং ঘন ঘন জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে পেটের মেদ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে, যা হৃদরোগের আরেকটি বড় ঝুঁকির কারণ।

এসবের মাঝেই একটি সুখবর আছে। আপনার হার্টের যত্ন নেওয়া খুব কঠিন নয়। একবার আপনি ঝুঁকির কারণগুলি সম্পর্কে সচেতন হলে, আপনি তাদের প্রভাব কমাতে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করুন। আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারাতে অল্প কিছু পরিবর্তন আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যে পরিবর্তন আনতে পারে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সক্রিয় থাকা। আমাদের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের ব্যায়ামের গুরুত্ব অনেক বেশি পরিমাণে বুঝতে হবে।

আরও পড়ুন: এই আসনগুলি করলে ডায়াবেটিসের হাত থেকে মুক্তি প্রায় নিশ্চিত করা যাবে!