Diabetes Control: এই আসনগুলি করলে ডায়াবেটিসের হাত থেকে মুক্তি প্রায় নিশ্চিত করা যাবে!
টাইপ ২ ডায়াবেটিসে যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায় তাতে ইনসুলিন প্রতিরোধের বিকাশ ঘটে। যার কারণে চিনি রক্তে থেকে যায়। শরীর সেই অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার করতে পারে না, ফলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে থাকে।
ডায়াবেটিস একটি বিপাকীয় ব্যাধি যা কার্ডিয়াক সমস্যা, স্ট্রোক, কিডনি সমস্যা, অন্ধত্ব ইত্যাদি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ওষুধের পাশাপাশি, রোগীদের ওজন কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়, তাদের খাদ্যতালিকায় কম GI (Glycemic Index) খাবার ব্যবহার করার কথা বলা হয়। তাদের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যোগব্যায়াম এবং অন্যান্য ব্যায়াম করারও পরামর্শ দেওয়া হয়।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস তখন হয় যখন অটোইমিউন রেসপন্সের ফলে শরীর ইনসুলিন তৈরি করা বন্ধ করে দেয়। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায় তাতে ইনসুলিন প্রতিরোধের বিকাশ ঘটে। যার কারণে চিনি রক্তে থেকে যায়। শরীর সেই অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার করতে পারে না, ফলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে থাকে।
বেশ কয়েকটি গবেষণায় টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে যোগ ব্যায়ামের কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
১) মার্জারিয়াসনা:
উর্ধ্বমুখী মার্জারি আসন করার জন্য, আপনার হাঁটুর উপর আসুন। কাঁধের নীচে হাত রাখুন এবং হিপের নীচে হাঁটু রাখুন। এবার দীর্ঘ শ্বাস নিন এবং আপনার মেরুদণ্ডকে বাঁকা করুন। অধঃমুখী মার্জারি আসনের জন্য, শ্বাস ছাড়ুন। আপনার পিঠের দিকটি গোল করুন এবং আপনার চিবুকটি বুকের দিকে নামান। আপনার দৃষ্টি আপনার নাভি অঞ্চলের দিকে ফোকাস করুন।
২) পশ্চিমমোতনাসন:
এই আসন করার সময় আপনি আপনার পাগুল সামনের দিকে সোজা করে রাখুন। এরপর আপনার হাত দুটো দিয়ে আপনার পায়ের বুড়ো আঙ্গুল ধরার চেষ্টা করুন। এবার আসতে আসতে বুকটা নামিয়ে আনুন। হাঁটু অল্প ভাঁজ করুন। এবার মাথাকে হাঁটুতে ঠেকানোর চেষ্টা করুন। আপনার মেরুদণ্ড সোজা রাখুন। শ্বাস ছাড়ুন এবং কোমরের দিক থেকে সামনের দিকে বাঁকুন।
গর্ভবতী মহিলাদের এই আসন উচিত নয়। এছাড়াও যারা স্লিপ ডিস্ক, সায়াটিকা বা হাঁপানিতে ভুগছেন তাদের এই আসন করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
৩) অধঃমুখী স্বনাসনা:
নিশ্চিত করুন যে আপনার হাত কাঁধের নীচে আর হাঁটু হিপের নীচে রয়েছে। হিপের অংশকে উপরের দিকে তুলুন। হাঁটু এবং কনুই সোজা রাখুন। আপনার শরীরকে একটি উল্টানো ‘V’ আকার দিন। এখন হাত আর কাঁধের প্রস্থ আলাদা রাখুন। আপনার চোখ আপনার পায়ের আঙ্গুলের উপর রাখুন। আপনি যদি কার্পাল টানেল সিনড্রোম অথবা ডায়রিয়ায় ভুগছেন তবে এই আসনটি আপনার করা উচিত নয়। এছাড়াও গর্ভাবস্থার উন্নত পর্যায়ে এই আসন এড়িয়ে চলুন। যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ বা মাথাব্যাথা থাকে তাহলে খুব ধীরে ধীরে এই আসন করুন। কোমর, কাঁধ বা হাতে চোট থাকলে এই আসন অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।
৪) বালাসনা:
এটি চাইল্ড পোজ নামেও পরিচিত। এই আসনটি করতে মাদুরে নতজানু হোন এবং আপনার হিলের উপর বসুন। শ্বাস নিন এবং মাথার উপরে হাত তুলুন। এবার শ্বাস ছাড়ুুন এবং আপনার শরীরের উপরের অংশটি বাঁকান। আপনার কপাল মেঝেতে রাখুন যাতে আপনার শ্রোণী হিলের উপর থাকে। নিশ্চিত করুন যে আপনার পিঠ একদম সোজা আছে।
আরও পড়ুন: শরীর-মনকে তাজা রাখতে দরকার শুধুমাত্র একগ্লাস বাটারমিল্ক! এর রয়েছে হাজারো গুণ…