Benefits of Buttermilk: শরীর-মনকে তাজা রাখতে দরকার শুধুমাত্র একগ্লাস বাটারমিল্ক! এর রয়েছে হাজারো গুণ…
গরমে বা শীতে দেহকে হাইড্রেট করতে যদি কোনও স্বাস্থ্যকর পানীয়ের সন্ধান থাকে, তাহলে ডায়েটে অবশ্যই বাটারমিল্ককে তালিকাভুক্ত করতে পারেন।
উত্তরভারতের এক জনপ্রিয় পানীয় হল বাটারমিল্ক (Buttermilk)। যা স্থানীয়রা একে ছাঁস (chhaas) বলতে বেশি পছন্দ করেন। জল ও মশলার সঙ্গে দই মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই সুস্বাদু পানীয়। মশলা যোগ করে এই পানীয়ের স্বাদে আরও বৈচিত্র আনা হয়। যে কোনও খাবারে সঙ্গে এই সুস্বাদু পানীয় দুর্দান্ত সঙ্গী হতে পারে। তবে বাটারমিল্ক নিয়ে অনেকই ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। অনেকেই বাটারমিল্ককে অস্বাস্থ্যকর আখ্যা দিয়ে এড়িয়ে যান। অন্যান্য সফট ড্রিঙ্কের সঙ্গে তুলনা করে বাটারমিল্ক বা ছাঁসকে দূরে সরিয়ে রেখে দেন। কিন্তু হয়তো জানেন. বাটারমিল্কের রয়েছে অনেক গুণ , যেগুলি জানলে সত্যিই অবাক হবেন আপনি…
বাটারমিল্কের উপকারিতা ( Benefits of buttermilk)
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: গরমকালে এই পানীয় অত্যন্ত জনপ্রিয়। এছাড়া ছাতু গোলা জলও খুবই উপকারী। তবে শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ও ঠান্ডা রাখতে বাটারমিল্ক খাওয়া বেশ উপকারী। শুধু গরমকালেই নয়, শীত-বর্ষা- যে কোনও সময়েই বাটারমিল্ক অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে গন্য করা হয়।
হাইড্রেট রাখতে ,সাহায্য করে- যে কোনও ঋতুতে শরীরকে আর্দ্র রাখতে বাচারমিল্কের চুমুক দিতে পারেন। গরমে বা শীতে দেহকে হাইড্রেট করতে যদি কোনও স্বাস্থ্যকর পানীয়ের সন্ধান থাকে, তাহলে ডায়েটে অবশ্যই বাটারমিল্ককে তালিকাভুক্ত করতে পারেন।
হজমতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে- পেটের সমস্যা বা হজমে গণ্ডগোল দেখা দেয় অনেক সময়। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্য়াস বা অম্বলের থেকে মুক্তি পেতে চাইলে ডায়েটে ছোলা যোগ করুন। পাশাপাশি খাবারের পর বাটারমিল্ক খেতে পারেন। উপকার পাবেন দ্রুত।
হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে- এতে রয়েছে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের উত্স। তাই বাটারমিল্কের জেরে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় দ্রুত। হাড়ের বিকাশের জন্য ও অস্টিওপোরোসিস- আর্থ্রাইটিসের মতো জটিল হাড়ের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বাটারমিল্ক প্রোবায়োটিক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। বাটারমিল্কের মধ্যে রয়েছে প্রোবায়াটিকের উপাদান। তাই শরীরকে বাইরের সংক্রমণ থেকে লড়াই করতে সাহায্য করে। এছাড়া যে কোনও কঠিন রোগ থেকে রক্ষা করতেও এই সস্বাদু পানীয়ের বিকল্প নেই।
প্রসঙ্গত, যাঁরা ল্যাকটোজ ইন্টোলেরেন্স ভুগছেন তাঁরা এই পানীয় অবশ্যই খেতে পারেন। তাতে হজমের কোনও সমস্যা তৈরি হবে না, বরং হজমের প্রক্রিয়া আরও সহজ করে তুলতে সক্ষম এই ছাঁস। তবে এটা মনে রাখবেন, এই সুস্বাদু পানীয় অতিরিক্ত পান করবেন না । মাখনের মধ্যের রয়েছে সোডিয়াম। তাই অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: Weight Lose: পুজোর আগে মেদ ঝরিয়ে স্লিম হতে চান? ট্রাই করুন ডিপ ওয়াটার রানিং!