Make in India: মেক ইন ইন্ডিয়ার ১০ বছর, সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী
Make in India: মোবাইল উৎপাদনের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে সারা দেশে মাত্র দুটি মোবাইল তৈরির কারখানা ছিল। আর এখন তা বেড়ে হয়েছে ২০০। মোবাইল রফতানি ৭৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মোদী বলেন, এখন ভারতে ব্যবহৃত মোবাইলে ৯৯ শতাংশ দেশেই তৈরি হয়। বিশ্বে মোবাইল উৎপাদনে ২ নম্বরে উঠে এসেছে ভারত।
নয়াদিল্লি: ২০১৪ সালের ২৬ মে। প্রথমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদী। তার পর সবে কেটেছে কয়েকমাস। ভারতে যাতে বিদেশি সংস্থাগুলি তাদের কারখানা খোলে, তার উদ্যোগ নিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ভারতে কারখানা খোলার আহ্বান জানালেন। ওই বছরেরই ২৫ সেপ্টেম্বর সূচনা করলেন মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের। আর এই প্রকল্প এদিন ১০ বছর পূর্ণ করল। দশ বছর পূর্তিতে মেক ইন ইন্ডিয়ার সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী। এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য প্রত্যেককে অভিবাদন জানান মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রভাব এটা স্পষ্ট করল যে ভারত অপ্রতিরোধ্য। তিনি বলেন, “একটা লক্ষ্য নিয়ে দশ বছর আগে এর পথ চলা শুরু হয়েছিল। পণ্য উৎপাদনে ভারতের অগ্রসরের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রতিভাশালী এই দেশ শুধুমাত্র আমদানিকারক দেশ হিসেবে না থেকে যাতে রফতানিকারক দেশ হয়, তা নিশ্চিত করতে এই পথ চলা শুরু।”
গত দশ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেক ইন ইন্ডিয়ার যে প্রভাব পড়েছে, তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। কয়েকটি উদাহরণ দেন তিনি। মোবাইল উৎপাদনের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে সারা দেশে মাত্র দুটি মোবাইল তৈরির কারখানা ছিল। আর এখন তা বেড়ে হয়েছে ২০০। মোবাইল রফতানি ৭৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মোদী বলেন, এখন ভারতে ব্যবহৃত মোবাইলে ৯৯ শতাংশ দেশেই তৈরি হয়। বিশ্বে মোবাইল উৎপাদনে ২ নম্বরে উঠে এসেছে ভারত।
এই খবরটিও পড়ুন
স্টিল শিল্পে ভারতে উৎপাদন ২০১৪ সালের চেয়ে ৫০ শতাংশের চেয়ে বেশি বেড়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে। পাঁচটি প্ল্যান্টের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যেখান থেকে দিনে ৭ কোটি চিপ তৈরি করা যাবে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে ভারতের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন মোদী। গত ১০ বছরে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন ভারতে ৪০০ শতাংশ বেড়েছে। সামরিক সরঞ্জাম রফতানি ১০০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। ভারত এখন ৮৫টি বেশি দেশে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
খেলনা উৎপাদনে ভারতের অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এই দশ বছরে খেলনা রফতানি ২৩৯ শতাংশ বেড়েছে। ভারতে উৎপাদন বাড়ায় কর্মসংস্থানও বেড়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
গতকালই তিনদিনের আমেরিকা সফর সেরে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমেরিকা সফরে বিশ্বের প্রথম সারির টেকনোলজি সংস্থাগুলির সিইও-দের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেও ভারতে পণ্য উৎপাদনে জোর দেন মোদী। বৈঠক শেষে গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই বলেন, ভারতে পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী তাঁদের উৎসাহিত করেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী মেক ইন ইন্ডিয়ার সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, “একসঙ্গে আমরা এমন ভারত গড়ে তুলতে পারি, যা শুধু নিজের প্রয়োজন মেটাবে না। একইসঙ্গে বিশ্বের কাছে উৎপাদনের পাওয়ার হাউস হয়ে উঠবে।”