করোনা রুখতে আরও কঠোর দিল্লি, ১৪টি বেসরকারি হাসপাতালকে রূপান্তরিত হল কোভিড হাসপাতালে
গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৪৯১ জন। এখনও পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা।
নয়া দিল্লি: ভয়াবহ হয়ে উঠছে দেশের করোনা পরিস্থিতি। গত বছরে যেমন চিত্রটা দেখা গিয়েছিল, একই চিত্র ফের সামনে উঠে আসছে। তবে করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত কেজরীবাল সরকার। রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার পার করতেই ১৪টি বেসরকারি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে ঘোষণা করল রাজ্য প্রশাসন।
সম্প্রতি দিল্লির করোনা পরিস্থিতি পরিদর্শনে বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, বর্তমান পরিস্থিতি গত নভেম্বরের তৃতীয় ঢেউয়ের থেকেও ভয়ানক। তবে রাজ্যে করোনা চিকিৎসায় পরিকাঠামোয় কোনও অভাব রাখা হবে না। সমস্ত সরকারি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা থেকে শুরু করে অক্সিজেন, ভেন্টিলেটরের উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে। এ বার তিনি বেসরকারি হাসপাতালের দিকেও হাত বাড়ালেন।
এ দিন রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়, মোট ১৪টি বেসরকারি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হচ্চে। অর্থাৎ এখানে কেবল করোনা রোগীদেরই চিকিৎসা হবে। ১৪টি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ৩২০২ শয্যা থাকবে। আইসিইউ বেড থাকবে ১১৩৫টি।
এই হাসপাতাল গুলি হল-
১. ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতাল, সরিতা বিহার ২.স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতাল ৩. হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, ওখলা ৪. মহারাজা অগ্রসেন, পাঞ্জাবী বাঘ ৫. ম্যাক্স হাসপাতাল, শালিমার বাগ ৬. ফর্টিস হাসপাতাল, শালিমার বাগ ৭. ম্যাক্স হাসপাতাল, সাকেত ৮. ভেঙ্কটেশ্বর হাসপাতাল, দ্বারকা ৯. শ্রী বালাজী অ্যাকশন মেডিকেল ইনস্টিটিউট, পশ্চিম বিহার ১০. জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতাল, রোহিনী ১১. মাতা চানন দেবী হাসপাতাল, জনকপুরী ১২.পুষবতী সিংহানিয়া হাসপাতাল, সাকেত ১৩. মণিপাল হাসপাতাল, দ্বারকা ১৪. সরোজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল
এর বাইরেও দিল্লি সরকার ১৯ টি বড় বেসরকারি হাসপাতালের ৮০ শতাংশ আইসিইউ বেড করোনার রোগীদের জন্য সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে মোট ৭৬৫ টি আইসিইউ বেড করোনার রোগীদের জন্য থাকবে। ৮২টি অন্যান্য হাসপাতালে আইসিইউ বেডের ৬০শতাংশ করোনা রোগীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৪৯১ জন। এখনও পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের, যা গত ৫ ডিসেম্বরের পর সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা।বর্তমানে দিল্লিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৮ হাজারেরও বেশি।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে গড়াগড়ি খাচ্ছে মৃতদেহ, করোনা আবহে শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য