Sharad Pawar: শিন্ডে-সিন্ড্রোম শরদেরও ছিল! ৪৪ বছর আগে ঠিক একইভাবে রাতারাতি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী

Sharad Pawar: অতিরিক্ত চারটি আসনের জোরেই সেই সময় সরকার গড়েছিলেন বসন্তদাদা পাটিল। কিছুদিনের মধ্যেই বিরোধী দল সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল। শরদ পাওয়ার, যিনি সেই সময় শিল্পমন্ত্রী ছিলেন, তিনি নিজেই সরকারের পতন রুখেছিলেন।

Sharad Pawar: শিন্ডে-সিন্ড্রোম শরদেরও ছিল! ৪৪ বছর আগে ঠিক একইভাবে রাতারাতি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
৪৪ বছর আগে একইভাবে সরকার ফেলে দিয়েছিলেন শরদ পাওয়ার। অলঙ্করণ: অভীক দেবনাথ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2022 | 2:27 PM

মুম্বই: সরকারের গদি নিয়ে ‘মহা’ যুদ্ধ প্রায় শেষের পথে। আস্থাভোট এড়াতেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। আগামিকাল, শুক্রবারই নতুন সরকার গঠন হতে পারে। বিক্ষুব্ধ ৫০ বিধায়কের সমর্থন নিয়েই সরকার গঠন করবে বিজেপি। সূত্রের খবর,মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীস (Devendra Fadnavis), উপ-মুখ্যমন্ত্রী হবেন একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। দলের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন একনাথ শিন্ডে, সেই বিদ্রোহই এত বড় আকার ধারণ করে যে বাধ্য হয়েই বুধবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন উদ্ধব ঠাকরে। শিন্ডের এই পদক্ষেপে অনেকেই হতবাক। তবে মহারাষ্ট্রের ইতিহাস সম্পর্কে যারা ওয়াকিবহাল, তাদের কাছে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। বর্তমানে একনাথ শিন্ডে যা করেছেন, ৪৪ বছর আগে অপর এক নেতা একই কাজ করেছিলেন। সেই নেতা আবার মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারেরও অন্য়তম অংশ ছিলেন। কে এই নেতা জানেন?

মহারাষ্ট্রে বর্তমানে যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে, তা ১৯৭৮ সালেও হয়েছিল। সেই সময় এই ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন আর কেউ নয়, খোদ ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেতা শরদ পাওয়ারই। ১৯৭৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পরই কংগ্রেস দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। একটি অংশের নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী তথা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, অপর অংশের নেতৃত্বে ছিলেন কর্নাটকের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ দেবরাজ উরস। তবে ১৯৭৮ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের সময় দুই শিবিরই একজোট হয়ে নির্বাচনে লড়েছিল বিজেপিকে হারানোর লক্ষ্যে।

অতিরিক্ত চারটি আসনের জোরেই সেই সময় সরকার গড়েছিলেন বসন্তদাদা পাটিল। কিছুদিনের মধ্যেই বিরোধী দল সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল। শরদ পাওয়ার, যিনি সেই সময় শিল্পমন্ত্রী ছিলেন, তিনি নিজেই সরকারের পতন রুখেছিলেন। কিন্তু সেই সমর্খন ছিল দিনকয়েকের। সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই একদিন হঠাৎ রাজভবনে হাজির হন শরদ পাওয়ার। রাজ্যপালের কাছে চিঠি দিয়ে জানান যে, ৩৮ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে তিনি পৃথক সরকার গঠন করতে চান।

সেই সময়ও একইভাবে বিজেপির সাহায্য নিয়েই সরকার গঠন করেছিলেন শরদ পাওয়ারের দল। মাত্র ৩৮ বছর বয়সেই রাজ্যের কনিষ্ঠতম মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন শরদ পাওয়ার। প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণরাও ভেগদে এই প্রসঙ্গে বলেন, “তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্তের পিছনে অন্য়তম কারণ ছিল অপমানই। শরদ পাওয়ার ও অন্যান্য বিধায়করা অসন্তুষ্ট ছিলেন তৎকালীন উপ-মুখ্যমন্ত্রীর উপরে। প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বসন্তদাদা পাটিল, শরদ পাওয়ার সহ একাধিক মন্ত্রীকে অপমান করেছিলেন তিনি। তিন-চার মাস ধরে যে ক্ষোভ ভিতরে ভিতরে জমা হচ্ছিল, তারই বহিঃপ্রকাশ হয়েছিল শরদ পাওয়ারের সিদ্ধান্তে। বাদল অধিবেশন চলাকালীন হঠাৎ একদিন শরদ পাওয়ার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে নতুন দল গঠনের কথা জানান।”

শরদ পাওয়ারের ৪৪ বছর আগে সরকার ফেলে দেওয়ার যে পথ দেখিয়েছিলেন, সেই পথই অনুসরণ করে সরকার ফেলে দিলেন একনাথ শিন্ডে।