Union health secretary: ওষুধ শিল্পে উড়ছে তেরঙ্গা! টিকা থেকে ওষুধ, ভারতের দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব

India leading in Pharmaceutical industry: গত এক বছরে বিশ্ব জুড়ে ৮০০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ তৈরি এবং বিতরণ করা হয়েছে। এর অর্ধেকই জোগান দিয়েছে ভারত। জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন এবং সরবরাহর ক্ষেত্রেও বর্তমানে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। ফার্মাসিউটিক্যালস শিল্পে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত বলে দাবি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব পুণ্য সলিল শ্রীবাস্তবের।

Union health secretary: ওষুধ শিল্পে উড়ছে তেরঙ্গা! টিকা থেকে ওষুধ, ভারতের দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Meta AI
Follow Us:
| Updated on: Oct 17, 2024 | 6:06 PM

নয়া দিল্লি: ফার্মাসিউটিক্যালস শিল্পে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত। এমনটাই দাবি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব পুণ্য সলিল শ্রীবাস্তবের। সম্প্রতি, ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরাম আয়োজিত, বার্ষিক ইন্ডিয়া লিডারশিপ সামিট ২০২৪-এ ভাষণ দেন তিনি। সেখানে তিনি জানান, গত এক বছরে বিশ্ব জুড়ে ৮০০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ তৈরি এবং বিতরণ করা হয়েছে। এর অর্ধেকই জোগান দিয়েছে ভারত। জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন এবং সরবরাহর ক্ষেত্রেও বর্তমানে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। তিনি জানান, এই ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য, গোটা বিশ্বে স্বাস্থ্য পরিষেবার খরচ কমিয়েছে। এমনকি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থাতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে ভারতের।

তাঁর এই বক্তব্যের সাপেক্ষে বেশ কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরেন পুণ্য সলিল শ্রীবাস্তব। তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর বাইরে, সেই দেশের এফডিএ-অনুমোদিত ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানার সংখ্যা সবথেকে বেশি রয়েছে ভারতে। এর ফলে, ২০২২ সালে মার্কিন স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার ২,১৯,০০০ কোটি মার্কিন ডলার সাশ্রয় হয়েছে। আর ২০১৩ থেকে ২০২২-এর মধ্যে এই ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর সাশ্রয় হয়েছে ১.৩ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার। আর ভারতের এই অবদান শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, গোটা বিশ্বেই রয়েছে।

তিনি আর জানান, চিকিৎসা শিক্ষার সংস্কার, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন আইন এবং সংশ্লিষ্ট আইন দিয়ে সেকেলে আইনগুলিকে প্রতিস্থাপন করা – এই রকম বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারতে একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। মেডিকেল এবং নার্সিং কলেজের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ভারতে, জাতীয় এবং বৈশ্বিক চাহিদা পূরণ করার মতো যোগ্য স্বাস্থ্য কর্মীদের ভান্ডার তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিবের মতে, সরকারি উদ্যোগে ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবার মান, পরিমাপ ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। এর ফলে, ২০১৩-র তুলনায় ২০২১-এ স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য সাধারণ মানুষের ব্যয় ২৫ শতাংশ কমেছে।

কোভিড-১৯-এর মতো মহামারির মোকাবিলায় নজরদারি, প্রস্তুতি এবং প্রতিরোধের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাতে শক্তিশালী ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথ উদ্যোগ নিচ্ছে বল জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। ‘ফিল্ড এপিডেমিওলজি ট্রেনিং প্রোগ্রাম’ থেকে শুরু করে জৈব-ফার্মাসিউটিক্যাল সাপ্লাই চেইন অপ্টিমাইজ করা, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বায়োমেডিকাল গবেষণায় সহযোগিতা বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের অংশিদারিত্ব দেখা যাচ্ছে।