Adhir Chowdhury on Pappu: অধীর চৌধুরীর মুখে ‘পাপ্পু’ শুনে কী বললেন অমিত শাহ
Amit Shah Reaction: রাহুলকে করার বিজেপির পাপ্পু সম্বোধন নিয়ে কটাক্ষ করেন অধীর। তার পরই সংসদে হাসির রোল ওঠে। বিজেপির তরফ থেকে টিপ্পনীও ভেসে আসে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর উদ্দেশে।
নয়াদিল্লি: সংসদের যৌথ অধিবেশন শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণ দিয়ে। সেই ভাষণের পর মঙ্গলবার লোকসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সেই ভাষণে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি। আদানি ইস্যুকে তুলোধনা করেন সরকারকে। বুধবার অধীর চৌধুরীর বক্তৃতায় উঠে এসেছিল রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের ঝাঁঝের বিষয়টি। সেই প্রসঙ্গে অধীর বলেন, “রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে আলোচনার বদলে রাহুল গান্ধী বনাম সরকার হয়ে উঠেছে। বিজেপির হাল খারাপ করে দিয়েছে রাহুল গান্ধী।” এর পরই রাহুলকে করার বিজেপির পাপ্পু সম্বোধন নিয়ে কটাক্ষ করেন অধীর। তার পরই সংসদে হাসির রোল ওঠে। বিজেপির তরফ থেকে টিপ্পনীও ভেসে আসে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর উদ্দেশে।
রাহুল গান্ধীর প্রসঙ্গে অধীর বুধবার বলেছেন, “সংসদে রাহুল গান্ধীকে রোখার জন্য বিজেপি সেনা (সাংসদ) মোতায়েন করেছিল। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধী উচিত বিষয় তুলে ধরেছেন। বিজেপি দলের অকর্মণ্যতাকে সামনে এনেছেন। আপনারা যতই রাহুল গান্ধীকে পাপ্পু বানানোর চেষ্টা করুন, রাহুল গান্ধী আপনাদের পাপ্পু বানিয়ে দিয়েছেন।” এই কথা বলার পরই হাসির রোল ওঠে লোকসভার অন্দরে। এই বক্তব্য চলাকালীনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কিছু বলার চেষ্টা করেন। নিজের বক্তব্য থামিয়ে তাঁকে সেই সুযোগও করে দেন অধীর চৌধুরী। তখন অমিত শাহ কিছুটা ব্যঙ্গ করেই অধীর চৌধুরীর উদ্দেশে বলেন, “কোনও সাংসদকে পাপ্পু বলা ঠিক নয়।” অমিত শাহের এই বাক্যের ফের হাসতে থাকেন উপস্থিত সাংসদদের একাংশ।
যদিও এতে দমে যায়নি অধীর। তিনি ফের বুঝিয়ে দেন রাহুল গান্ধী কী ভাবে বিজেপির দিকে নিশানা করেছে। রাহুল ছোড়া ‘তিরের’ জেরে ‘বিজেপির অন্দরে হইচই’ শুরু হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। রাষ্ট্রপতির জাতি পরিচয় নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে বলেও বুধবার অভিযোগ করেছেন অধীর। এ নিয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, “এর আগে অনেক জন ভারতের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। আমিও অনেক দিন ধরেই সাংসদ রয়েছি। এক জন রাষ্ট্রপতির জাত বা ধর্মের ব্যাপারে আলোচনা হতে শুনিনি। বিজেপি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে এমন প্রচার চালাচ্ছে, তা নিন্দনীয়। বিজেপি এটাকে নির্বাচনী ইস্যু বানাতে চাইছে।”