Sandalwood Plant: কন্যাসন্তান জন্মালেই চন্দন গাছ লাগান এই গ্রামের বাসিন্দারা
বিহারের বৈশালী জেলার বিদুরপুরের পাকোলি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এই রীতি। ওই গ্রামে গেলে অনেক গ্রামবাসীর বাড়ির ভিতরে বা সামনে আপনি দেখতে পাবেন চন্দন গাছ।
বৈশালী: কন্যাসন্তানের জন্ম হলেই লাগানো হয় চন্দন গাছ। এমনই প্রথা চলে আসছে বিহারের একটি গ্রামে। বেশ কয়েক প্রজন্ম ধরেই চলছে এই রীতি। তবে গ্রামবাসীরা কন্যাসন্তানের জন্ম হলে শুধু গাছই লাগান না, সেই গাছকে যত্ন করে বড় করেও তোলেন। তার পর মেয়ের বিয়ে দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয় সেই গাছ।
বিহারের বৈশালী জেলার বিদুরপুরের পাকোলি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এই রীতি। ওই গ্রামে গেলে অনেক গ্রামবাসীর বাড়ির ভিতরে বা সামনে আপনি দেখতে পাবেন চন্দন গাছ। এ বিষয়ে ওই গ্রামের বাসিন্দা মীরা দেবী জানিয়েছেন, গ্রামের প্রায় ৭০০ বাড়িতে কন্যাসন্তান জন্মের পর চন্দন গাছ লাগানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা মেয়ের বিয়ের জন্য কোনও টাকা সঞ্চয় করেন না। ওই গাছ বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায়, তা দিয়েই দেওয়া হয় মেয়েদের বিয়ে।
কন্যাসন্তানের জন্ম খুব শুভ লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয়। সে জন্যই লাগানো হয় চন্দন গাছ। কন্যাসন্তান জন্মানোর কয়েক মাসের মধ্যেই তা লাগানো হয়। এবং গ্রামবাসীরা সেই সব গাছের পরিচর্যাও করেন। যাতে কেউ সেই গাছের ক্ষতি করতে না পারে বা গরু-ছাগল তা খেয়ে নিতে না পারে। মীরা দেবী জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগেই তাঁর নাতনির জন্ম হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যে তিনি বাড়ির সামনে চন্দন গাছ লাগিয়েছেন।