Potato prices: বাজারে আলু কিনতে ‘নাভিশ্বাস’ মধ্যবিত্তের, আর মন্ত্রী বলছেন…
Potato prices: এদিন বেচারাম মান্না বলেন, "যেখানে প্রয়োজন মনে হচ্ছে, সেখানে অস্থায়ীভাবে সুফল বাংলা স্টল করে দিচ্ছি। বন্যার সময় থেকেই স্টলগুলো আমরা অস্থায়ীভাবে চালাচ্ছি।"
পাঁশকুড়া: বাজারে আলু কিনতে গিয়ে ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তের পকেটে। আবার কখনও কর্মবিরতি ডাক দিচ্ছে আলু ব্যবসায়ী সমিতি। ফলে আলুর দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলছেন, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় আলুর দাম কম। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় তিনি আশ্বাস দিলেন, মানুষের সুবিধার্থে রাজ্যের যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই দেওয়া হবে সুফল বাংলা স্টল।
এদিন বেচারাম মান্না বলেন, “যেখানে প্রয়োজন মনে হচ্ছে, সেখানে অস্থায়ীভাবে সুফল বাংলা স্টল করে দিচ্ছি। বন্যার সময় থেকেই স্টলগুলো আমরা অস্থায়ীভাবে চালাচ্ছি।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে ভারতে আলুর দাম পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে কম। গত বছরের থেকে এ বছর প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন কম হয়েছে। তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার সুফল বাংলার প্রায় ৬০০ কাউন্টারের মধ্য দিয়ে জেলাগুলোতে ২৫ টাকা এবং কলকাতাতে ২৬ টাকা কেজি ধরে আলু দিচ্ছে।” বিভিন্ন বাজারে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা যাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “টাস্ক ফোর্সের নজরদারি চলছে। আগামী কাল থেকে আরও বাড়বে।”
এদিন পাঁশকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় সুফল বাংলার অস্থায়ী স্টল বসে। সেখানে আলু পঁচিশ টাকা এবং পেঁয়াজ ৪৫ টাকা করে দেওয়া হয়। এবং এই ভ্রাম্যমান স্টলে ২ কেজি আলু ও এক কেজি পেঁয়াজ দেওয়া হয়। মাইসরা, কেশাপাট, রাতুলিয়া বাজার এবং পুরুষোত্তমপুরে এই ভ্রাম্যমান স্টল থেকে আলু, পেঁয়াজ কেনেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই খবরটিও পড়ুন
এলাকার এক বাসিন্দা রঞ্জিত কুমার দে বলেন, “২৫ টাকা করে যে ২ কিলো আলু দিচ্ছে, সেটা একটা পরিবারে কতদিন চলবে? কাল থেকে আবার দাম বেড়ে যাবে শোনা যাচ্ছে। তাহলে কি লাভ হবে আমাদের? একটা পরিবারের অন্তত ১০ কেজি আলু দিলে কাজ হবে। আলুর দাম কমাতে হবে। পেঁয়াজ ৪৫ টাকা করে মার্কেটে পাওয়া যায়। তাহলে এখান থেকে নেবে কেন? আলু তো ২৮ টাকা করে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে? এখানে ২৫ টাকা করে নেবে কেন?” সরকার দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে তাঁর অভিযোগ।
তবে সুফল বাংলা স্টল থেকে আলু নেওয়ার পর খুশি আর এক বাসিন্দা শেখ হানিফ। তিনি বলেন, “এখানে একটু কম দামে আলু, পেঁয়াজ পেলাম। বাজারে ৩২ টাকা করে আলু। আর ৫০ টাকা করে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। সেক্ষেত্রে এখানে অনেক কমে পাওয়া গেল।”