‘সদ্য বিবাহিত জেলবন্দিদের শারীরিক শান্তি মিটছে না, সপ্তাহে দু’একদিন যদি…’, বিধানসভায় নওশাদের প্রশ্নে ‘থ’ কারামন্ত্রী
Nawsad siddique in Assembly: বিধানসভা অধিবেশনে নওশাদ বলেন, "আমি অনেকদিন জেলে কাটিয়েছি। আমার সঙ্গে জেলবন্দিদের কথাও হয়। এটা আমার প্রশ্ন না। জেল বন্দিদের মনের কথা বলছি। সপ্তাহে একদিন আত্মীয়-স্বজনরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। তাতে কিছুটা মানসিক শান্তি পান তাঁরা। কিন্তু যারা দীর্ঘদিন ধরে জেলে আছেন অথবা যাঁরা সদ্য-বিবাহিত তাদের মানসিক শান্তি হলেও শারীরিক শান্তি মিটছে না।"
কলকাতা: রাজ্য বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছিল। কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা উত্তর দিচ্ছেন। আচমকা উঠল হাসির রোল। কারণ, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির জেলবন্দি মহিলাদের একটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেন। আর সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিতে গিয়ে খানিক থমকে যেতে হয় কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে।
কী হয়েছে বিধানসভায়?
বিধানসভা অধিবেশনে নওশাদ বলেন, “আমি অনেকদিন জেলে কাটিয়েছি। আমার সঙ্গে জেলবন্দিদের কথাও হয়। এটা আমার প্রশ্ন না। জেল বন্দিদের মনের কথা বলছি। সপ্তাহে একদিন আত্মীয়-স্বজনরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। তাতে কিছুটা মানসিক শান্তি পান তাঁরা। কিন্তু যারা দীর্ঘদিন ধরে জেলে আছেন অথবা যাঁরা সদ্য-বিবাহিত তাদের মানসিক শান্তি হলেও শারীরিক শান্তি মিটছে না। সপ্তাহে দু’একদিন যদি…এই বিষয় কারা দফতর কি কিছু ভাবছে?”
এরপরই মন্ত্রী প্রশ্ন শুনে রীতিমতো থতমতো খেয়ে যান। হাসির রোল ওঠে বিধানসভায়। মন্ত্রী উত্তর দেন, “আমরা আপনার প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছি।” পরে অবশ্য নওশাদ এই প্রশ্ন করার পিছনে কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, “জেলে এত মহিলা কয়েদিরা অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ছেন সেই কারণেই আমার এটা বলা। এটা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকারের ভেবে রাখা উচিত।”
অধিবেশন শেষ হওয়ার পর বিধানসভার অলিন্দে নওশাদকে রীতিমতো ছেঁকে ধরেন মহিলা বিধায়করা। দল মত নির্বিশেষে। সেখানেও তখন হাসির রোল। হাউজ শেষে নওশাদ সরাসরি বলেন, “রাজ্য সরকার তো দাবি করে তারা অনেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এটা করুন না…কারও স্বামী জেলে আছে, কারও স্ত্রী জেলে আছে। তাঁরা যখন সংশোধনাগারে দেখা করতে যান, সেই সময় যাতে একান্তে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন সেই ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার।”