La Nina Effect: বৃষ্টিতেই নাজেহাল? শীতে হাড় কাঁপবে ঠকঠক করে, কম্বল মুড়িয়ে বেরতে হবে!
Weather Update: বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই সবথেকে ভয়ঙ্কর ঠান্ডা পড়তে চলেছে। মৌসম ভবন ও মার্কিন আবহাওয়া পূর্বাভাস সেন্টারের তরফে সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে যে এবার ভয়ঙ্কর শৈত্যপ্রবাহ হবে। বিশেষ করে উত্তর ভারতে শৈত্য প্রবাহ হবে। অক্টোবর এবং ডিসেম্বরের মধ্যে লা নিনা তৈরির সম্ভাবনা ৭১ শতাংশ।

নয়া দিল্লি: বর্ষাকাল শেষ হয় জুলাই-অগস্ট মাসে। তবে এবার সেপ্টেম্বর মাস শেষ হতে চললেও, বৃষ্টি থেকে নিস্তার মিলছে না। বরং অতিবৃষ্টি, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, ধস, হড়পা বানে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্য সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। কলকাতাও দিন দুয়েক আগেই ভেসে গিয়েছে ভয়ঙ্কর বৃষ্টিতে। এই বৃষ্টিতেই নাজেহাল, তাহলে আপনার জন্য় অপেক্ষা করছে আরও দুর্ভোগ। বর্ষার পর এবার শীতও ভয়ঙ্কর পড়তে চলেছে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা যাকে বলে, তাই এবার পড়বে। গোটা ভারত কাঁপবে সেই ঠান্ডায়। এর কারণ লা নিনা।
বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই সবথেকে ভয়ঙ্কর ঠান্ডা পড়তে চলেছে। মৌসম ভবন ও মার্কিন আবহাওয়া পূর্বাভাস সেন্টারের তরফে সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে যে এবার ভয়ঙ্কর শৈত্যপ্রবাহ হবে। বিশেষ করে উত্তর ভারতে শৈত্য প্রবাহ হবে। অক্টোবর এবং ডিসেম্বরের মধ্যে লা নিনা তৈরির সম্ভাবনা ৭১ শতাংশ।
লা নিনা একটি স্প্যানিশ শব্দ, যার অর্থ ছোট্ট মেয়ে। এটি একটি জলবায়ুগত অবস্থা যা প্রশান্ত মহাসাগরের উপরের তলকে অস্বাভাবিকভাবে শীতল করে। এটা এল-নিও পুনরাবৃত্তিমূলক জলবায়ু চক্র, যা লা নিনায় শীতল এবং এল নিনোতে উষ্ণ আবহাওয়া তৈরি করে।
লা নিনায় দক্ষিণ আমেরিকার কাছে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে জল ঠান্ডা হয়ে যায়, অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার দিকের জল আরও উষ্ণ হয়ে যায়। এতে বৈশ্বিক আবহাওয়ার ধরন বা প্যাটার্নেই প্রভাব পড়ে। নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে উত্তর ভারতে আরও বেশি তুষারপাত এবং শৈত্যপ্রবাহ সৃষ্টি করে।
ভারতে মূলত লা নিনার প্রভাব পড়ে। এর জেরে অনেক সময়ই অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়। কৃষিকাজে সাহায্য হয়, আবার ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণও বাড়ে। তবে এর প্রভাবে শীতও জাঁকিয়ে পড়ে। পার্বত্য অঞ্চলে তুষারপাত হয়। তবে বর্তমানে আবহাওয়ার যেভাবে পরিবর্তন হচ্ছে, তাতে লা নিনার চরিত্রও ব্যখ্যা করা যাচ্ছে না।
