AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Omicron Scare: ওমিক্রন ‘মেরে ফেলার’ আগে স্ত্রীকে গলা টিপে ও দুই সন্তানকে হাতুড়ি মেরে খুন চিকিৎসকের

Omicron Scare: সংক্রমণ থেকে স্ত্রী, সন্তানদের ‌বাঁচাতে পারবেন না, এই আতঙ্কেই‌ তাঁদের খুন করলেন এক চিকিৎসক। তিনি ডায়রিতে লিখেছেন, ওমিক্রন সবাইকে মেরে ফেলবে, আমার পালানোর কোনও রাস্তা নেই।

Omicron Scare: ওমিক্রন 'মেরে ফেলার' আগে স্ত্রীকে গলা টিপে ও দুই সন্তানকে হাতুড়ি মেরে খুন চিকিৎসকের
বাড়ছে ওমিক্রন আতঙ্ক। ছবি পিটিআই।
| Edited By: | Updated on: Dec 05, 2021 | 2:27 PM
Share

কানপুর : ওমিক্রন নিয়ে ভয় বাড়ছে ক্রমশ। ডেল্টার পর করোনার এই নতুন ভ্য়ারিয়েন্ট তৃতীয় ঢেউ আনবে না তো! এমন আতঙ্কে ভুগছেন অনেকেই। আর সেই আতঙ্কেই নিজের স্ত্রী, সন্তানকে খুন করে ফেললেন এক চিকিৎসক। ভাইরাসের ভয় যে কতটা চেপে বসেছে, এই ঘটনা তারই প্রমাণ। উত্তর প্রদেশের কানপুরের ঘটনা। নিজের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুন করেছেন কানপুর হাসপাতালের চিকিৎসক ড. সুশীল কুমার। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে এবং দুই সন্তানকে হাতুড়ি দিয়ে মাথার খুলি ফাটিয়ে খুন করেছেন ওই চিকিৎসক। দাদা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকের ভাই। ঘটনার পর থেকে খোঁজ নেই চিকিৎসকের।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে। সেই ডায়েরিতে লেখা বার্তা অনুযায়ী, ওই চিকিৎসক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে খুবই চিন্তায় ছিলেন। ডায়েরিতে তিনি লিখেছে, ‘ওমিক্রন সবাইকে মেরে ফেলবে। আমার জন্যই এমন একটা জায়গায় আছি যেখান থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন।’ ওই চিকিৎসক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

সুশীল কুমার নামে ওই চিকিৎসক কানপুরের একটি হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান। অভিযোগ, তিনি তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুন করেছেন। সন্তানদের মধ্যে এক ১৮ বছরের ছেলে ও এক ১৫ বছরের মেয়ে। ভাইকে মেসেজ পাঠিয়ে পুলিশে খবর দেওয়ার কথা ওই চিকিৎসক জানিয়েছিলেন নিজেই। কিন্তু কেউ বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই পালিয়ে যান ওই চিকিৎসক।

ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাথা হাতুড়িও উদ্ধার করে পুলিশ। ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই চিকিৎসক এমন একটি রোগে ভুগছিলেন যা কখনও সারবে না। পরিবারকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ছেড়ে যেতে পারবেন না বলেই এই কাজ করেছেন তিনি।

ওই ডায়েরিটিকে সুইসাইড নোট হিসেবে ধরে নিচ্ছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান সন্দেহ, খুন করার পর আত্মহত্যা করেছেন চিকিৎসকও। জলে ডুব দিয়ে বা অন্য কোনওভাবে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন তিনি। সেই সন্দেহে গঙ্গায় ডুবুরি নামিয়েও খোঁজা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন : Train Accident: লেভেল ক্রসিংয়ে আটকে মারুতি, সজোরে ধাক্কা পাঁশকুড়া লোকালের! বরাত জোরে প্রাণে বাঁচলেন চালক