Vadluru and Usha Vance: ট্রাম্প জিততেই বাজি পোড়ালো ভাদলুরু, কবে আসবেন ঊষা ভ্যান্স?
Vadluru and Usha Vance: কমলার পৈত্রিক গ্রামে যখন এই ছবি, তখন ঠিক তার বিপরীত দৃশ্য অন্ধ্র প্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলার ভাদলুরু গ্রামে। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রবেশ নিশ্চিত হতেই, রিপাবলিকান সমর্থকদের সঙ্গে জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছে অন্ধ্রের এই ছোট্ট গ্রামও। কারণ, ট্রাম্পের জয়ের সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী সেকেন্ড লেডি হতে চলেছেন ঊষা ভ্যান্স। ভাদলুরু তাঁর পৈত্রিক গ্রাম।
হায়দরাবাদ: অনেক আশা নিয়ে বুক বেঁধেছিল তামিলনাড়ুর থিরুভারুর জেলার থুলসেন্দ্রপুরম গ্রাম। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি মনোনীত প্রার্থী কমলা হ্যারিসের পৈতৃক গ্রাম। কমলার জয় চেয়ে গ্রামের মন্দিরে পুজো দেওয়া হয়েছিল। তবে বুধবার (৬ নভেম্বর), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় স্পষ্ট হয়ে যেতেই গ্রামবাসীদের যাবতীয় উৎসাহ হারিয়ে গিয়েছে। কমলার পৈত্রিক গ্রামে যখন এই ছবি, তখন ঠিক তার বিপরীত দৃশ্য অন্ধ্র প্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলার ভাদলুরু গ্রামে। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রবেশ নিশ্চিত হতেই, রিপাবলিকান সমর্থকদের সঙ্গে জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছে অন্ধ্রের এই ছোট্ট গ্রামও। কারণ, ট্রাম্পের জয়ের সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী সেকেন্ড লেডি হতে চলেছেন ঊষা ভ্যান্স। ভাদলুরু তাঁর পৈত্রিক গ্রাম।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত জেডি ভ্যান্সের স্ত্রী, ৩৮ বছরের উষা চিলুকুরি ভ্যান্সের জন্ম ও বেড়ে ওঠা আমেরিকার সান দিয়েগোর শহরতলিতে। ইয়েল এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তবে, তাঁর পূর্বপুরুষরা থাকতেন অন্ধ্রের এই গ্রামেই। তার দাদু ভাদলুরু গ্রাম থেকে পাড়ি দিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর চেন্নাই শহরে। পরে, তাঁর বাবা চিলুকুরি রাধাকৃষ্ণান, উচ্চশিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়েছিলেন। জেডি ভ্যান্সের স্মৃতিকথা হিলবিলি এলিজি থেকে তৈরি চলচ্চিত্র অনুযায়ী আমেরিকায় আসার সময় চিলুকুরি রাধাকৃষ্ণানের সঙ্গে টাকা-পয়সা কিছু ছিল না বললেই চলে। ২০১৪ সালে কেন্টাকিতে জেডি ভ্যান্সকে বিয়ে করেন উষা। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। নিজে কোনোদিন পৈত্রিক গ্রামে না এলেও নিজের শিকড়কে কখনও অস্বীকার করেননি উষা। আর তাই, আশায় বুক বাঁধছে ভাদলুরু গ্রাম।
কমলা হযারিসের জয়ের জন্য যেমন প্রার্থনা করেছিল থুলসেন্দ্রপুরম, তেমনই নির্বাচনের আগে ভাদলুরুর বাসিন্দারা ট্রাম্পের জয়ের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। গ্রামের মন্দিরে গণপতির কাছে পুজো দিয়েছিলেন। সেই কাঙ্খিত জয় আসার পর তাঁদের আশা, বিনিময়ে গ্রামের উন্নতির জন্য ঊষা ভ্যান্স নিশ্চয়ই কিছু করবেন। গ্রামের মন্দিরের পুরোহিত, আপ্পাজি বলেছেন, “আমরা আশা করি তিনি আমাদের গ্রামকে সাহায্য করবেন। যদি তিনি তাঁর শিকড়কে মনে রেখে এই গ্রামের জন্য ভাল কিছু করেন, তাহলে খুব ভাল হবে।”
গ্রামের আরেক বাসিন্দা ভেঙ্কট রামন্যায়ের সময় সত্তর পেরিয়েথে। তিনি বলেছেন, “শুধু আমি নই, প্রত্যেক ভারতীয়ই ঊষাকে নিয়ে গর্বিত। কারণ তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। আশা করি, তিনি আমাদের গ্রামের উন্নয়ন করবেন।”আমরা আশা করি তিনি আমাদের গ্রামের উন্নয়ন করবেন। আমরা ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের শাসন দেখেছি, খুব ভাল। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময়, ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক খুবই ভাল ছিল।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উষা ভ্যান্স কখনও ভাদলুরু গ্রামে আসেননি। তবে, বছর তিনেক আগে, তাঁর বাবা একবার এই গ্রামে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।