কঠোর হচ্ছে আইন, পশুদের প্রতি নৃশংসতায় হতে পারে ৫ বছরের জেল

বর্তমান আইনে কোনও প্রাণীকে মারধর, লাথি মারা, অত্যাচার করা, খেতে না দেওয়া, অতিরিক্ত ভার চাপানোর ক্ষেত্রে ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা জরিমানা করা হত।

কঠোর হচ্ছে আইন, পশুদের প্রতি নৃশংসতায় হতে পারে ৫ বছরের জেল
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Feb 06, 2021 | 4:38 PM

নয়া দিল্লি: রাস্তায় নেড়ি কুকুর বা বিড়াল দেখলেই ঢিল ছোড়েন বা লাথি মারেন? তাহলে এখনই সাবধান হন, নাহলে এবার ৭৫ হাজার টাকা অবধি জরিমানা কিংবা পাঁচ বছর অবধি জেলও হতে পারে। ৬০ বছরের পুরনো পশুদের প্রতি নৃশংসতা প্রতিরোধ আইন (Prevention of Cruelty to Animals Act)-এ সংশোধন করার পরিকল্পনা চলছে সংসদে। সেই সংশোধিত আইনেই পশুদের আঘাত করার ক্ষেত্রে জরিমানার অঙ্ক ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা অবধি করা হচ্ছে।

পশুদের প্রতি নৃশংসতা প্রতিরোধে ৬০ বছর আগে যে আইন আনা হয়েছিল, সেখানে পশুদের আঘাতের ক্ষেত্রে কোনও শ্রেণি ছিল না। সংশোধনী আইনের যে খসড়া প্রস্তাব বলা হয়েছে, মোট তিনটি শ্রেণিতে পশুদের আঘাত ভাগ করা হবে। এগুলি হল- স্বল্প আঘাত, গুরুতর আঘাত ও মৃত্যু। আঘাতের মাত্রার উপর নির্ভর করেই জরিমানা ৭৫০ টাকা থেকে ৭৫ হাজার টাকা অবধি এবং পাঁচবছরের সাজা ধার্য করা হবে। বর্তমান আইনে কোনও প্রাণীকে মারধর, লাথি মারা, অত্যাচার করা, খেতে না দেওয়া, অতিরিক্ত ভার চাপানোর ক্ষেত্রে ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা জরিমানা করা হত।

আরও পড়ুন: বম্বে হাইকোর্টে জামিন মঞ্জুর ধর্ষণে অভিযুক্তর, ‘নাবালিকার সম্মতির বিষয়টি ধোঁয়াশাপূর্ণ’

গতবছর কেরলে একটি হাতিকে খেতে দেওয়া আনারসে বাজি ভরে দেওয়া ও সেই কারণে হাতি মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করে রাজ্যসভায় প্রশ্ন করেন রাজীব চন্দ্রশেখর। শুক্রবার এরই জবাবে মৎস্য, পশুপালন ও দুগ্ধমন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh) বলেন, “১৯৬০ সালের পিসিএ আইন সংশোধন করে কঠোর সাজা দেওয়ার বিষয়টি সরকার চিন্তাভাবনা করছে। ইতিমধ্যেই শাস্তি ও আর্থিক জরিমানার বিষয়টি খসড়া প্রস্তাবমায় আলোচনা করা হচ্ছে।”

আইনি সাজা বা জরিমানার বিষয়টি মন্ত্রী উল্লেখ না করলেও সরকারি সূত্রে বলা হয়, “এই বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে স্টেকহোল্ডার, জনগণ ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। সকলের মতামত নিয়ে পর্যালোচনার পরেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” সংসদে পশুদের উপর অত্যাচারের প্রশ্নে সরকারের তরফে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও অবধি মোট ৩১৬টি মামলার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। এরমদ্যে ৬৪টি মামলা সুপ্রিম কোর্টে ও ৩৮টি দিল্লি হাইকোর্টে আটকে রয়েছে। অমীমাংসিত ৩১৬টি মামলার মধ্যে ১৯৯টি মামলাই পাঁচবছরেরও বেশি সময় ধরে আইনি জটিলতায় আটকে রয়েছে।

আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থেই শান্তিপূর্ণ ‘সত্যাগ্রহ’, চাক্কা জ্যামে পূর্ণ সমর্থন রাহুলের