AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বম্বে হাইকোর্টে জামিন মঞ্জুর ধর্ষণে অভিযুক্তর, ‘নাবালিকার সম্মতির বিষয়টি ধোঁয়াশাপূর্ণ’

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওই কিশোরী তাঁর বন্ধুকে জানায়, খুড়তুতো দাদা তাঁকে অনুচিতভাবে স্পর্শ করেছে, তারপর থেকেই তাঁর পেটে ব্যাথ্যা করছে।

বম্বে হাইকোর্টে জামিন মঞ্জুর ধর্ষণে অভিযুক্তর, 'নাবালিকার সম্মতির বিষয়টি ধোঁয়াশাপূর্ণ'
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Feb 06, 2021 | 3:07 PM
Share

মুম্বই: “নাবালিকার সম্মতির বিষয়ে আইনি ধোঁয়াশা রয়েছে”, এই মর্মে বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) ধর্ষণের মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক যুবককে জামিন দিল। ২০১৮ সালের এই মামলায় নিজের খুড়তুতো বোনকেই ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল ১৯ বছরের ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের সময় অভিযুক্তও অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে।

২০১৭ সালে ১৫ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করে তাঁরই খুড়তুতো দাদা। জানা গিয়েছে, দুই বছর ধরে কাকার বাড়িতেই থাকছিল ওই কিশোরী। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওই কিশোরী তাঁর বন্ধুকে জানায়, খুড়তুতো দাদা তাঁকে অনুচিতভাবে স্পর্শ করেছে, তারপর থেকেই তাঁর পেটে ব্যাথ্যা করছে। বন্ধুকে ধীরে ধীরে হতাশা গ্রাস করছে দেখে সেই বন্ধু শিক্ষিকাকে জানায় এবং তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে জানান।

এরপর কিশোরীর স্কুলের ওই শিক্ষিকাই ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। জেরায় নির্যাতিতা জানায়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় খুড়তুতো দাদা। এরপর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও ফের নির্যাতন করে দাদা। যদিও সেই সময় মেডিক্যাল অফিসার পরীক্ষা করে জানান, কিশোরীর দেহে কোনও অভ্যন্তরীণ আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থেই শান্তিপূর্ণ ‘সত্যাগ্রহ’, চাক্কা জ্যামে পূর্ণ সমর্থন রাহুলের

অপরাধ আইনের ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেও ওই কিশোরীর বয়ান রেকর্ড করা হয়, যদিও সেই সময় কিশোরী জানায় নিজেদের সহমতেই কমপক্ষে ৪-৫ বার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন তাঁরা। এমনকি, ওই কিশোরী জানায়, শিক্ষিকার চাপেই পুলিশের সামনে অন্য বয়ান দিয়েছিল সে।

নিম্ন আদালতের তরফে অভিযুক্ত কিশোরকে ১০ বছরের সাজা ঘোষণা করা হলে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান। যাবতীয় তথ্য প্রমাণ যাচাই করে বিচারপতি শিণ্ডে বলেন, “নাবালিকার সম্মতি নিয়ে আইনি ধোঁয়াশা রয়েছে, কারণ আইন অনুযায়ী নাবালিকার সম্মতিকে আইনের চোখে কখনওই গ্রাহ্য করা হয় না। তবে এক্ষেত্রে প্রমাণগুলি অত্যন্ত স্পষ্ট। অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা দুজনই এক ছাদের নীচে বসবাস করে এবং ঘটনার সময় দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক ছিল না। এছাড়াও নির্যাতিতা নিজেই বয়ান পরিবর্তন করে নিয়েছে।”

বম্বে হাইকোর্টের বেঞ্চের তরফে আরও বলা হয়, “এমনকি নির্যাতিতার মা-ও আইনি কার্যাবলী এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। চিকিৎসকেরাও দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাননি।” বম্বে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, নিম্ন আদালতে শুনানি চলাকালীনও অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হয়েছিল এবং সেই জামিনের অপব্যবহার করেনি সে। এই প্রেক্ষিতেই যুবককে জামিন দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কম দামে চিনি বিক্রি করলেই কড়া ব্যবস্থা, চিঠি কেন্দ্রের