কম দামে চিনি বিক্রি করলেই কড়া ব্যবস্থা, চিঠি কেন্দ্রের

৩১০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল এমএসপি ধার্য করে দেয় কেন্দ্র

কম দামে চিনি বিক্রি করলেই কড়া ব্যবস্থা, চিঠি কেন্দ্রের
Follow Us:
| Updated on: Feb 06, 2021 | 1:22 PM

মুম্বই: কোভিডের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব সব ক্ষেত্রেই পড়েছে। করোনা পরিস্থিতির জেরে এবার উৎসবের আয়োজন কিছুটা হলেও কম। তাই চিনির চাহিদাও অন্যবারের তুলনায় কম। কৃষকদের দাম মেটাতে তাই অপেক্ষাকৃত সস্তাতেই চিনি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে সুগার মিল বা চিনির কারখানাগুলো। এমনটাই দাবি মিল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু সরকার তাতে সন্তুষ্ট নয়। সুগার মিলগুলিকে এব্যাপারে সতর্ক করল কেন্দ্র।

এমএসপি বা সরকরি ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের থেকে কম দামে চিনি বিক্রি করছে মিলগুলো। অভিযোগ এমনটাই। সেটা যাতে আর না করা হয়, তার জন্য এবার সতর্ক করে চিঠি দিল কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: দুপুরের ঘুমে আদৌ কি কোনও শারীরিক উপকার হয়?

কেন্দ্রের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের খাদ্য বিভাগের তরফ থেকে চিনি উৎপাদনকারী রাজ্যগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেসব কারখানা কম দামে চিনি বিক্রি করছে, তাদের নামও জানতে চাওয়া হয়েছে। কম দামে চিনি বিক্রি করতে দেখা গেলে সেইসব মিলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

২০২০-২১ অর্থবর্ষে মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের সুগার মিলগুলি ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের থেকে কম দামে চিনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। চিনির চাহিদা কমেছে, বিক্রিও হচ্ছে না আশানুরূপ। কিন্তু আখ চাষিদের টাকা মেটাতে হচ্ছে মিলগুলিকে। পাশাপাশি মিল চালানোর খরচও তুলতে হচ্ছে। তাই এভাবে কম দামে চিনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের প্রায় সব মিলই দাম কমিয়ে বিক্রি করছে। মারাঠওয়াড়া ও আহমেদনগরের অর্ধেক মিল এভাবে কম দামে চিনি বিক্রি করতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: ‘কী উত্তেজনা’, ইউভানের নতুন ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনলেন রাজ

২০১৮ -তে চিনির ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ৩১০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল ধার্য করে দেয় কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, চিনি কতটা বিক্রি করা হবে, সেই পরিমানও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। চাহিদা ও যোগানের সামঞ্জস্য রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল দামে চিনি বিক্রি করছে বেশ কিছু মিল। চিঠিতে কেন্দ্র ব্যাখ্যা দিয়েছে যে এভাবে সস্তায় চিনি বিক্রি করে দিলে তাতে আখেরে চিনি শিল্পের সার্বিক ক্ষতি হতে পারে। তাই নিয়ম ভাঙলে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র।

এই প্রসঙ্গে বম্বে সুগার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মুকেশ কুভেদিয়া জানান, চিনির চাহিদা নেই বলেই দাম কম। কৃষকদের প্রাপ্য মেটাতে তাই কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে সুগার মিলগুলিকে। পাশাপাশি কন্টেনারের অভাবে রফতানিও বন্ধ, তাই দাম মেটাতে এই পথে হাঁটতে হয়েছে।