Arunachal Kidnapped Boy: ‘হাত-পা বেঁধে রাখত, বিদ্যুতের ঝটকাও দিত!’, লাল ফৌজের অত্যাচারের কথা জানালেন মিরামের বাবা

Arunachal Kidnapped Boy Update: ওপাং তারন বলেন, "ও (মিরাম) এখনও ভীত রয়েছে। ওকে পিঠে লাথি মারা হয়েছিল ও ইলেকট্রিক শকও দেওয়া হয়েছিল প্রথমদিকে।"

Arunachal Kidnapped Boy: 'হাত-পা বেঁধে রাখত, বিদ্যুতের ঝটকাও দিত!', লাল ফৌজের অত্যাচারের কথা জানালেন মিরামের বাবা
মিরাম তারন। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2022 | 8:19 AM

নয়া দিল্লি: এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লাল ফৌজের হাতে বন্দি থাকার পর অবশেষে দেশে ফিরে এসেছে অরুণাচলের কিশোর মিরাম তারন। মঙ্গলবারই ভারতীয় সেনার এক আধিকারিক জানান, চিনা সেনার হাতে অপহৃত ওই কিশোরকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

গত ২০ জানুয়ারিই জানা যায়, অরুণাচল প্রদেশ থেকে তিরাম তারন নামক এক ১৭ বছরের কিশোরকে অপহরণ করে নিয়েছে চিনের সেনাবাহিনী। পূর্ব অরুণাচলের কংগ্রেস সাংসদ তাপির গাও-ই প্রথম টুইট করে গোটা বিষয়টি সামনে আনেন। তিনি লেখেন, “গত ১৮ জানুয়ারি সিয়াং এলাকার জ়িডো গ্রাম থেকে চিনা সেনাবাহিনী মিরাম তারন নামে ১৭ বছরের এক যুবককে অপহরণ করে নিয়েছে। ভারতীয় সীমানার ভিতরে ঢুকেই ওই কিশোরকে অপহরণ করা হয়েছে। ওই কিশোরের এক বন্ধু কোনও ক্রমে চিনা সৈন্যের হাত থেকে রক্ষা পায়, সেই পালিয়ে এসে স্থানীয় প্রশাসনকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছে। ভারত সরকারের সমস্ত সংস্থাকে অনুরোধ করা হচ্ছে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে আনার জন্য।”

এরপরই ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে চিনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে হটলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়। লাল ফৌজের তরফেও আশ্বাস দিয়ে বলা হয় যে, ওই কিশোরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে। এক সপ্তাহ পরেই চিনা সেনার তরফে জানানো হয় ওই কিশোরের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এবং শীঘ্রই তাঁকে ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে। প্রবল শৈত্য প্রবাহের কারণে সেই কাজে কিছুটা দেরী হচ্ছে। পরদিনই, অর্থাৎ ২৭ জানুয়ারি ভারতীয় সেনার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় মিরামকে। চলতি সপ্তাহের সোমবার সিয়ং জেলায় টুটিংয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিবারের হাতে ওই অপহৃত কিশোরকে তুলে দেওয়া হয়।

মিরামের বাবা ওপাং তারন ছেলেকে ফিরে পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করলেও, তিনি জানান, গোটা ঘটনায় মিরাম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সে। তিনি জানান, পিপলস লিবারেশন আর্মির সেনারা মিরামকে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চোখ ও হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখেছিল।

ওপাং তারন বলেন, “ও (মিরাম) এখনও ভীত রয়েছে। ওকে পিঠে লাথি মারা হয়েছিল ও ইলেকট্রিক শকও দেওয়া হয়েছিল প্রথমদিকে। অধিকাংশ সময়ই ওর চোখ বেঁধে রাখা হত এবং বন্দি থাকাকালীম সবসময়ই ওর হাতও বেঁধে রাখা হত। একমাত্র খাওয়ার বা শৌচাগারে যাওয়ার সময়ই হাত-পা খোলা হত। তবে খাবার নিয়ে তাঁকে কোনও কষ্ট দেওয়া হয়নি।”

এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অরুণাচল প্রদেশের সুবানসিরি জেলা থেকে ৫ যুবককে অপহরণ করে নেয় চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। এক সপ্তাহ বাদে ওই অপহৃত যুবকদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: Budget 2022: ‘প্রধানমন্ত্রীজী সাফ বলেছিলেন…’, আয়কর কাঠামো অপরিবর্তিত রাখার কারণ জানালেন অর্থমন্ত্রী