Bill Gates: ‘মোদীজির দূরদৃষ্টি উপলব্ধি করছে সবাই’, বিল গেটসের পোস্ট শেয়ার করে জানালেন অশ্বিনী বৈষ্ণব
Bill Gates in India: সোমবার মার্কিন ধনকুবের বিল গেটস এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তাঁর সাম্প্রতিক ভারত সফরের এক অনন্য অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন। ডাক বিভাগের এক মহিলা কর্মচারীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়নের ফলে ভারতের আপামর জনতা কীভাবে উপকৃত হচ্ছেন, সেই কাহিনিই তুলে ধরেছেন তিনি।
নয়া দিল্লি: আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, অর্থাৎ, যাতে সকল নাগরিক সুরক্ষিতভাবে সকল আর্থিক পণ্য ও পরিষেবা পান, সেই লক্ষ্য়েই ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়নে জোর দিয়েছিল মোদী সরকার। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদীর সেই দূরদৃষ্টির ভূয়সী প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আসলে, সোমবার মার্কিন ধনকুবের বিল গেটস এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তাঁর সাম্প্রতিক ভারত সফরের এক অনন্য অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন। ডাক বিভাগের এক মহিলা কর্মচারীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়নের ফলে ভারতের আপামর জনতা কীভাবে উপকৃত হচ্ছেন, সেই কাহিনিই তুলে ধরেছেন তিনি।
বিল গেটস তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানিয়েছেন, ওই মহিলা ডাক কর্মচারীর নাম কুসুমা। ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে কাজে লাগিয়ে তিনি যেভাবে তাঁর কাজ করছেন, তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিল গেটস। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, সারা ভারতের গ্রাহকদের স্মার্টফোন এবং বায়োমেট্রিক্স ব্যবহার করে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা প্রদান করেন কুসুমা। এর ফলে, আর্থিক পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি, গোটা সম্প্রদায়ের আর্থিক ক্ষমতায়নও সম্ভব হয়েছে। তাঁর এই পোস্ট শেয়ার করেই
বিল গেটস-এর এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ভারতীয় নেটিজেনদের মধ্যে বিশেষ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য বিল গেটসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। একজন জানিয়েছেন, কুসুমার মতো আরও অনেকেই তাদের নিজ নিজ স্মার্টফোন ব্যবহার করে এবং বায়োমেট্রিক্স প্রমাণীকরণের মাধ্যমে গ্রাহকদের সঞ্চয়, টাকা তোলা, টাকা পাঠানো, বিল পেমেন্টের মতো বিভিন্ন ধরনের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেন। আরেক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, যোগ থেকে ডিজিটালাইজেশন – সর্বক্ষেত্রেই ভারত এখন নেতা। মুগ্ধ ভারতীয়দের সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে অশ্বিনী বৈষ্ণবের নামও।
ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার হল নিরাপদ এবং দক্ষ ডিজিটাল নেটওয়ার্ক। সরকারি বিভিন্ন আর্থিক এবং সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা যাতে সহজে সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে যায়, তার জন্য়ই এই নেটওয়ার্কের উন্নয়নে সবথেকে বেশি জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই নেটওয়ার্কের ফলে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া এখন অনেক সহজ হয়ে উঠেছে। সময়ও আগের থেকে অনেক কম লাগে। অধিকাংশ ভারতীয় এখন তাঁদের নিজ নিজ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই সরাসরি মজুরি পেয়ে যান। সরকারের পক্ষেও নাগরিকদের দ্রুত সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির মতো জরুরী সময়ে ডিপিআই-এর গুরুত্ব সবথেকে বেশি উপলব্ধি করা গিয়েছিল। বিল গেটসও জানিয়েছেন, ডি়জিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকটার তৈরির ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকায় নিয়েছে ভারত।