Pamban Bridge: ব্রিজ দিয়ে ছুটবে ট্রেন, জাহাজ এলেই খুলে দু’ভাগ হয়ে যাবে সেতু! দেশেই এই আশ্চর্য সেতুর ঠিকানা জানেন?
Indian Railways: এই সেতুতে ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল সিস্টেমের সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে ট্রেনের কন্ট্রোল মেকানিজমের। অ্যাডভান্স এই সিস্টেমের সাহায্যে পামবাম সেতুর নীচে কোনও জাহাজ এলেই, তা আপনা আপনি খুলে যাবে। নীচ থেকে জাহাজ চলে গেলে, সেতুটি আবার নেমে এসে জুড়ে যাবে।
নয়া দিল্লি: কখনও দুর্গম পাহাড় কেটে, কখনও আবার নদীর উপর সেতু গড়ে, দেশের অন্দরে যোগাযোগ ব্যবস্থা মজবুত করতে বরাবরই নজির গড়েছে ভারতীয় রেলওয়ে। এবার আরও এক সাফল্য রেলের। দেশের প্রথম ভার্টিকাল লিফ্ট সি ব্রিজ, পামবান সেতু তৈরি হয়ে গেল।
এই সি ব্রিজ ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে রামেশ্বরম ও পামবান দ্বীপকে জুড়েছে। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড এই অত্য়াধুনিক সেতু তৈরি করেছে। ২.০৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুকে সকলে স্থাপত্যের অন্যতম নজির বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে। ভারতে এই প্রথম, বিশ্বে দ্বিতীয় এই ব্রিজ। ভারতীয় ও ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড মেনে এই সেতু তৈরি করা হয়েছে।
আলাদা কী বৈশিষ্ট্য এই সেতুর?
এই সেতুতে ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল সিস্টেমের সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে ট্রেনের কন্ট্রোল মেকানিজমের। অ্যাডভান্স এই সিস্টেমের সাহায্যে পামবাম সেতুর নীচে কোনও জাহাজ এলেই, তা আপনা আপনি খুলে যাবে। নীচ থেকে জাহাজ চলে গেলে, সেতুটি আবার নেমে এসে জুড়ে যাবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ায়, এতে বিদ্যুতের খরচও কম হবে।
১৯১৪ সালে এই সেতু তৈরি করার প্রাথমিক ডিজাইন তৈরি করা হয়েছিল। পুরনো ব্রিজের গ্রাইন্ডারে সমুদ্রের জল লেগে জং পড়ে যাচ্ছিল। নতুন ব্রিজে এই সমস্যা হবে না। ৫৩৫ কোটি টাকা খরচে তৈরি এই ব্রিজের উপর দিয়ে ট্রেন যাবে। এতে পর্যটন শিল্পও নতুন মাইলেজ পাবে। এই সেতু দেখতে, এর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে বহু মানুষ ভিড় করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।