AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Air India Plane Crash: মাঝরাতে জেগে বসে থাকে, কথা বলে না কারোর সঙ্গে! ওই দিনের অভিশপ্ত স্মৃতি রোজ তাড়া করছে বিশ্বাসকে

Ahmedabad Plane Crash: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাস কুমার রমেশ তাঁর দাদা অজয়ের সঙ্গে লন্ডনে যাচ্ছিলেন। রমেশ বেঁচে গেলেও, তাঁর দাদা রক্ষা পাননি। এখন রমেশ মনোবিদের সাহায্য নিচ্ছেন দুর্ঘটনার ট্রমা কাটিয়ে ওঠার জন্য।

Air India Plane Crash: মাঝরাতে জেগে বসে থাকে, কথা বলে না কারোর সঙ্গে! ওই দিনের অভিশপ্ত স্মৃতি রোজ তাড়া করছে বিশ্বাসকে
এখনও আতঙ্ক তাড়া করছে বিশ্বাস কুমার রমেশকে।Image Credit: PTI
| Updated on: Jul 13, 2025 | 8:44 AM
Share

দিউ: দুর্ঘটনার এক মাস কেটে গিয়েছে, কিন্তু সেই ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারছেন না আহমেদাবাদে ভেঙে পড়া এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ। এখনও তিনি ওই দুর্ঘটনার ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না।

গত ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি ওড়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় বিমানের দুই পাইলট, ক্রু সহ ২৭০ জন যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে। একমাত্র জীবিত অবস্থায় বেরিয়ে এসেছিলেন বিমানের ১১এ সিটে বসা যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাস কুমার রমেশ তাঁর দাদা অজয়ের সঙ্গে লন্ডনে যাচ্ছিলেন। রমেশ বেঁচে গেলেও, তাঁর দাদা রক্ষা পাননি। এখন রমেশ মনোবিদের সাহায্য নিচ্ছেন দুর্ঘটনার ট্রমা কাটিয়ে ওঠার জন্য।

তাঁর খুড়তুতো ভাইয়ের কথায়, ওই দুর্ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন রমেশ। এখনও চোখের সামনে দুর্ঘটনার দৃশ্য ভেসে ওঠে। কীভাবে অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরলেন, তা যেমন মনে পড়ে, তেমনই নিজের দাদার মৃত্যুর ঘটনাও তাড়া করে বেড়াচ্ছে।

বিশ্বাসের খুড়তুতো ভাই সানি বলেন, “আমাদের অনেক আত্মীয়রা বিদেশে থাকেন, তারা বিশ্বাসের খোঁজ-খবর নেন। কিন্তু বিশ্বাস কারোর সঙ্গে কথা বলে না। ও এখনও বিমান দুর্ঘটনা এবং ওঁর দাদার মৃত্যুর ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারছে না। মাঝে-মধ্যেই  ঘুম ভেঙে যায় বিশ্বাসের। মাঝ রাতে ঘুম থেকে উঠে বসে থাকে। আর ঘুমাতে পারে না। এখন ওর লন্ডন ফেরত যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই কারণ সবে ওঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে।”

দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ। গত ১৭ জুন আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতাল থেকে ছুটি পান তিনি। ওই দিনই তাঁর দাদার দেহাংশ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।