‘সত্যি হলে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত, সমালোচিত হচ্ছেন মোদীও’, বিদ্যুৎকে একহাত অনুপমের

Anupam Hazra: দু'দিন আগেই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন অনুপম হাজরা।

‘সত্যি হলে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত, সমালোচিত হচ্ছেন মোদীও’, বিদ্যুৎকে একহাত অনুপমের
বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রসঙ্গে অনুপম হাজরা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 03, 2023 | 3:31 PM

নয়া দিল্লি: বিশ্বভারতী ও অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মধ্যে ‘জমিজট’ নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি এরইমধ্যে বিস্ফোরক বিজেপি নেতা তথা বিশ্বভারতীর প্রাক্তন অধ্যাপক অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে খোলাখুলি তোপ দাগলেন তিনি। অনুপম হাজরার বক্তব্য, “বিশ্বভারতীর ভাইস চান্সেলার যেভাবে বিশ্বভারতী চালাচ্ছেন, তার জন্য গত কয়েক মাসে বা কয়েক বছরে মোদীজীকে বারবার সমালোচিত হয়ে হয়েছে। বিশ্বভারতী যিনি চালাচ্ছেন সেই ব্যক্তির উপর তো প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যায়।” দু’দিন আগেই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন অনুপম হাজরা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর বোলপুর সফরের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে অনুপম লিখেছিলেন, ‘প্রফেসর অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ির জমি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য- যা এই প্রেস কনফারেন্সে তুলে ধরা হলো তা যদি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে বিশ্বভারতী’র উপাচার্যের উচিত অবিলম্বে প্রফেসর অমর্ত্য সেনের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া।”

কিন্তু কেন অনুপম হাজরার এমন মন্তব্য? কেন বিশ্বভারতীয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সম্পর্কে এমন মন্তব্য তাঁর মুখে? অনুপম হাজরা বলেন, “এই যে ঘটনাক্রম চলছে, তাতে মনে হল যেন অমর্ত্য সেন নোবেল পেলে জমিটা ছাড়তে হতো না। উনি নোবেল পাননি তাই জমিটা ছাড়তে হচ্ছে। এটা খুবই দৃষ্টিকটূ। উনি যদি নোবেল নাও পেয়ে থাকেন, তবু উনি যা পেয়েছেন সেটা কতজন পান? আমার কাছে অন্তত ১০-১৫টা এমন নাম আছে, যারা তৃণমূলের নেতা বা তৃণমূলপন্থী, তাঁরা বিশ্বভারতীর জায়গা ঘিরে বসে আছেন। তাহলে যে নোটিসটা অমর্ত্য সেনকে করা হল। একই নোটিস, একই ভাষায় ওই লোকগুলোকেও কেন পাঠানো হবে না?”

এখানেই থামেননি অনুপম হাজরা। সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, উপাচার্যের পদের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে বলে তিনি কি নিজেকে বিজেপি ঘেঁষা প্রমাণ করার তাগিদ অনুভব করছেন? এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “অনুপম হাজরা একজন শিক্ষিত মানুষ। বিশ্বভারতীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলেন বলেই জানি। ওনার হয়ত শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে।”