দেরাদুন: অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ দিন থেকেই শুরু হচ্ছে চারধাম যাত্রা। দু’বছরের কোভিড কাঁটা পার করে এবারের পুণ্যযাত্রা নিয়ে ভক্তদের আগ্রহও তুঙ্গে। তবে সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে উত্তরাখণ্ড সরকার গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ ও বদ্রীনাথে ভক্তদের যাওয়ার ক্ষেত্রে সংখ্যা সীমিত করে দিয়েছে। ৩০ এপ্রিল এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বদ্রীনাথের জন্য ১৫,০০০ ভক্ত, কেদারনাথের জন্য ১২,০০০ ভক্ত, গঙ্গোত্রীর জন্য ৭ হাজার ভক্ত ও যমুনোত্রীর জন্য ৪ হাজার ভক্তের দৈনিক প্রবেশাধিকার থাকবে। উত্তরকাশীতে যমুনোত্রী মন্দিরের দরজা খোলার সময় থেকেই এই যাত্রা শুরু হয়ে যাবে। ৬ মে থেকে খুলছে কেদারনাথের দরজা, ৮ মে খোলা হবে বদ্রীনাথের দরজা। সোমবারই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী ভক্তদের জন্য এক বিশেষ স্বাস্থ্য পরিষেবার সূচনা করেন। একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা নিখরচায় ভক্তদের এই পরিষেবা দেবে।
তার সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী বলেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই চারধাম যাত্রা ভক্তদের জন্য নিরাপদ হবে। তাঁরা যাতে স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন সেটাও দেখার দায়িত্ব আমাদের। চিকিৎসক, নার্সদের একটি টিম তৈরি থাকছে। সামাজিক এক সংস্থার তরফে তার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
এ বছর কোভিডের বিধি নিষেধের কড়াকড়ি নেই। ফলে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের ভিড় হতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই ভক্তের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। যদিও সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যের ভৌগলিক অবস্থা, হোটেলের ঘর, পার্কিংয়ের সুযোগ সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের মানুষের কাছে এই চারধাম যাত্রা শুধু পুণ্যযাত্রাই নয়, এ রাজ্যের অর্থনীতির উপরও একটা আলাদা প্রভাব রয়েছে। সূত্রের খবর, ৩ লক্ষ ভক্ত অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন এ বছর। যার মধ্যে কেদারনাথের জন্যই ৯০ হাজার রেজিস্ট্রেশন জমা পড়েছে।
আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ, ধেয়ে আসছে ঝড় বৃষ্টি… জেলায় জেলায় শুরু দুর্যোগ