CJI Chandrachud: ‘বিচ্ছেদ করে নিন, নাহলে উকিলদের ফুর্তি’, মহিলাকে পরামর্শ প্রধান বিচারপতির
CJI Chandrachud: স্ত্রীকে, স্বামীর সঙ্গে পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদে সম্মত হওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি তাঁদের জানান, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে শুধুমাত্র তাঁদের আইনজীবীরা উপকৃত হবেন, তাঁদের কোনও লাভ হবে না। মহিলা উচ্চশিক্ষিত জানার পরই তাঁদের পারস্পরিক সম্মতিতে বিচ্ছেদ করে নিতে পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি।
নয়া দিল্লি: এক বৈবাহিক বিরোধ মামলা স্থানান্তরের আবেদনের শুনানিতে, এক স্ত্রীকে, স্বামীর সঙ্গে পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদে সম্মত হওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি তাঁদের জানান, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে শুধুমাত্র তাঁদের আইনজীবীরা উপকৃত হবেন, তাঁদের কোনও লাভ হবে না। মহিলা উচ্চশিক্ষিত জানার পরই তাঁদের পারস্পরিক সম্মতিতে বিচ্ছেদ করে নিতে পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি।
এদিন শুনানির সময় ওই মহিলার কাছে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। মহিলা জানান, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমটেক ডিগ্রি এবং ডক্টরেট করেছেন। এরপর, প্রধান বিচারপতি জানতে চান, তিনি কোথায় কাজ করেন। মহিলা জানান, তিনি বর্তমানে কর্মরত নন। বিস্মিত প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনি এত শিক্ষিত, অথচ কোনও চাকরি করছেন না? আপনার কোনও যোগ্য চাকরি খুঁজে নেওয়া উচিত।” এরপরই, তাঁকে পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদের কথা বিবেচনা করার পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে বলে জানিয়ে, ওই দম্পতিকে সতর্ক করেন।
তিনি বলেন, “আপনারা জীবনের ১০ বছর আইনি লড়াই করে কাটাতে পারেন। এটা ১০ বছর ধরে চলবে এবং শুধুমাত্র আপনাদের আইনজীবীরাই তাতে আনন্দ পাবেন। কেন আপনারা দুজনে যুক্তিসঙ্গত হচ্ছেন না এবং পারস্পরিক সম্মতিতে বিচ্ছেদ দিতে রাজি হচ্ছেন না? না-হলে এই ক্ষেত্রে ফৌজদারি অভিযোগ থাকবে, ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ঝামেলা থাকবে। আপনারা পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদে রাজি হলে, আমরা এই মামলা বন্ধ করে দিতে পারি।”
ওই উচ্চশিক্ষিত মহিলাকে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “স্পষ্টতই, আপনারা একে অপরের কাছে ফিরে যেতে পারবেন না। আপনি যদি অশিক্ষিত এবং নিরক্ষর হতেন, তাহলে অন্য কথা ছিল। কিন্তু আপনার এত শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে যে আপনি সহজেই চাকরি পেতে পারেন।”