G20-তে সঙ্গে করে কী এনেছিল চিন? রহস্যজনক ব্যাগ, ছুঁতে পর্যন্ত দিল না

Mysterious Chinese bags at G20: জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শেষ হওযার তিনদিন পর জানা গেল বিস্ফোরক তথ্য। জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে থেকেই নাটক শুরু করেছিল চিন। প্রথমে বিতর্কিত মানচিত্র প্রকাশ, তারপর কোনও কারণ ছাড়াই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর না আসা। কূটনৈতিক উত্তেজনা উসকে দেওয়ার সব চেষ্টাই করেছিল তারা। তবে, বর্তমানে, যাবতীয় আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ওই রহস্যময় চিনা ব্যাগ।

G20-তে সঙ্গে করে কী এনেছিল চিন? রহস্যজনক ব্যাগ, ছুঁতে পর্যন্ত দিল না
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2023 | 2:28 PM

নয়া দিল্লি: জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। নয়া দিল্লি জুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। তার মধ্যেই কয়েকটি রহস্যজনক চিনা ব্যাগ নিয়ে ১২ ঘণ্টার চরম নাটক! কী ছিল ওই ব্যাগগুলিতে? অস্ত্রশস্ত্র? গুপ্তচরবৃত্তির কোনও যন্ত্র? জানা যায়নি। তাজ প্যলেস হোটেলের নিরাপত্তা কর্মীদের ওই ব্যাগ ছুঁতে দেননি, স্ক্যান করতে দেননি চিনা প্রতিনিধিরা। জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শেষ হওযার তিনদিন পর জানা গেল বিস্ফোরক তথ্য। জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে থেকেই নাটক শুরু করেছিল চিন। প্রথমে বিতর্কিত মানচিত্র প্রকাশ, তারপর কোনও কারণ ছাড়াই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর না আসা। কূটনৈতিক উত্তেজনা উসকে দেওয়ার সব চেষ্টাই করেছিল তারা। তবে, বর্তমানে, যাবতীয় আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ওই রহস্যময় চিনা ব্যাগ।

জিনপিং-এর পরিবর্তে চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং-এর নেতৃত্বে নয়াদিল্লিতে এক প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল চিন। তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট ছিল তাজ প্যালেস হোটেল। গত শনিবার, অর্থাৎ, ৯ সেপ্টেম্বর তাঁরা হোটেলে উপস্থিত হয়েছিলেন। সূত্রের খবর, চিনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি অস্বাভাবিক বড় আকারের কয়েকটি ব্যাগ ছিল। ব্যাগটি দেখেই নিরাপত্তা কর্তাদের সতর্ক করেছিলেন তাজ প্যালেস হোটেলের নিরাপত্তা কর্মীরা। তবে বাধ সাধে কূটনৈতিক প্রোটোকল। তাই, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ব্যাগটি নিয়ে চিনা প্রতিনিধিদের হোটেলে প্রবেশের অনুমতি দেন। কিন্তু, ব্যাগগুলি নিয়ে সন্দেহ ক্রমে বাড়ে। তার ভিতর কিছু যন্ত্রপাতি আছে বলে অনুমান করেন নিরাপত্তা কর্মীরা। তাই তাঁরা ব্যাগগুলি স্ক্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু, ব্যাগগুলি স্ক্যান করতে দিতে রাজি হননি চিনা প্রতিনিধিরা।

এই নিয়ে চিনা প্রতিনিধি দল এবং হোটেল কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। চিনা প্রতিনিধিরা ব্যাগ দেখাবেন না বলে গোঁ ধরে থাকেন। তাজ প্যালেস হোটেলের নিরাপত্তা কর্মীরাও সাফ জানিয়ে দেন, স্ক্যান না করে ওই ব্যাগগুলি নিয়ে হোটেলে ঢোকা যাবে না। এই অচলাবস্থা প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে চলে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের দাবি, এরপর ওই রহস্যজনক ব্যাগগুলি হোটেল থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে রাজি হন চিনা প্রতিনিধিরা। এরপর, তারা ব্যাগগুলি নয়া দিল্লির চিনা দূতাবাসে নিয়ে যান বলে খবর রয়েছে। এরপর সেই ব্যাগ কোথায় গিয়েছে, বা, ব্যাগে কী ছিল – এই সকল প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং-এর ভারত সফরের কথা প্রায় শেষ মুহূর্তে ঘোষণা করা হয়েছিল। বিশিষ্ট চিনা নেতারা সাধারণত এক ‘বিশেষ সুরক্ষা বিশিষ্ট বিমানে সফর করেন। নয়া দিল্লিতে আসার সময় লি কিয়াং সেই বিমান ব্যবহার করেননি। এই অস্বাভাবিকতা ব্যাগগুলির সামগ্রীর বিষয়ে রহস্য আরও বাড়িয়েছে।

তাজ প্যালেস হোটেলের এক সূত্র আরও জানিয়েছে, হোটেলের নিয়মিত ইন্টারনেট সংযোগও ব্যবহার করতে চায়নি চিনা প্রতিনিধিরা। পৃথক এবং প্রাইভেট ইন্টারনেট সংযোগ চেয়েছিল তারা। তবে তাদের সেই অনুরোধও মানেনি হোটেল কর্তৃপক্ষ। তবে, তাজ হোটেলের নিরাপত্তা কর্মীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ওই ব্যাগগুলি পরীক্ষা করাতেই আপত্তি জানিয়েছিলেন চিনা প্রতিনিধিরা। পরে, চিনা প্রতিনিধি দলের আরও অনেকেই তাজ প্যালেস হোটেলে এসেছিলেন। তাঁরা কেউই তাঁদের ব্যাগ পরীক্ষা করতে দিতে আপত্তি জানাননি। শুধুমাত্র ওই ব্যাগগুলির ক্ষেত্রেই কেন আপত্তি জানানো হল? হয়তো এর উত্তর কোনোদিনই জানা যাবে না।