AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Indian Air Force: চিনা বায়ুসেনার সেরা অস্ত্রের পাল্টা জবাব! ৪৫ দিনের মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসছে বিধ্বংসী তেজস MK1A

Indian Air Force: গত মার্চে হ্যালের তৈরি এমকে ওয়ান এ বায়ুসেনার হাতে আসার কথা ছিল। তার আগেও দুটি ডেডলাইন মিস হয়েছে। এবার বলা হচ্ছে অক্টোবরের কথা। তবে এখন হ্যাল বলছে, এবার আর কোনও দেরি নয়। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যেই প্রথম যুদ্ধবিমান বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে।

Indian Air Force: চিনা বায়ুসেনার সেরা অস্ত্রের পাল্টা জবাব! ৪৫ দিনের মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসছে বিধ্বংসী তেজস MK1A
বাড়ছে চর্চাImage Credit: ANI
| Updated on: Sep 19, 2024 | 11:45 PM
Share

কলকাতা: সবকিছু ঠিকঠাক চললে, আর দেড় মাসের মধ্যেই শেষ হবে দীর্ঘ অপেক্ষা। সব ঠিকঠাক চললে অক্টোবরের শেষে, দীপাবলির আগে বা পরে, বায়ুসেনার হাতে আসছে তেজসের অত্যাধুনিক ভার্সন – তেজস এমকে-ওয়ান- এ। তেজস এমকে ওয়ানের আপগ্রেডেড ভার্সন এটি। চিনা বায়ুসেনার সেরা অস্ত্র জে এফ থান্ডার টোয়েন্টির পাল্টা জবাব দিতে এর জুড়ি মেলা ভার বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ফোর পয়েন্ট ফাইভ জেনারেশনের যুদ্ধবিমান এটি। 

গত মার্চে হ্যালের তৈরি এমকে ওয়ান এ বায়ুসেনার হাতে আসার কথা ছিল। তার আগেও দুটি ডেডলাইন মিস হয়েছে। এবার বলা হচ্ছে অক্টোবরের কথা। তবে এখন হ্যাল বলছে, এবার আর কোনও দেরি নয়। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যেই প্রথম যুদ্ধবিমান বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই যুদ্ধবিমানে থাকবে টাইপ বি ইঞ্জিন। অর্থাত্‍ যা কিনা আগেও কোনও যুদ্ধবিমানে ছিল বা রিজার্ভ হিসাবে রাখা ছিল। তেজস এমকে ওয়ান এ যুদ্ধবিমানের জন্য মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিক বা জি-ইকে টাইপ সি ইঞ্জিন তৈরির বরাত দেওয়া দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জিই বারবার ডেডলাইন ফেল করে। হ্যালকে চুক্তিমতো ইঞ্জিন সরবরাহ করতে পারেনি তারা। বাধ্য হয়েই টাইপ বি ইঞ্জিন দিয়ে প্রথম যুদ্ধবিমানটি তৈরি করেছে হ্যাল। 

অন্যদিকে বিমানের সফটওয়ার আপগ্রেড করার ভার যে সংস্থার, ইজরায়েলের সেই সংস্থাও সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি। ফলে, আরও একপ্রস্থ দেরি। এদিন হ্যালেের এক কর্তা বললেন, ডিসেম্বর থেকে জিই কর্পোরেশন মাসে একটি করে ইঞ্জিন সরবরাহ করবে বলে কথা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরাও মাসে একটি করে বিমান বায়ুসেনার হাতে তুলে দিতে পারব। তেজস এমকে ওয়ান এ থেকে একসঙ্গে চারটি মিসাইল ফায়ার করা সম্ভব। এটি আকাশপথে দ্রুত হামলাকারীকে শনাক্ত করে ধ্বংস করতে পারে। মুখোমুখি যুদ্ধে এটি দুনিয়ার অন্যতম সেরা যুদ্ধবিমান হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে। এটি দিনে বা রাতে আইএনএস বিক্রমাদিত্য ও আইএনএস বিক্রান্তের মতো রণতরীর ডেকে নামতে পারে। 

একইসঙ্গে আকাশে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা কভার করতে পারে। প্রথমে ৮৩টি ও পরে আরও ৯৭টি মার্ক এম কে ওয়ান এ কিনতে বরাত দিয়ে রেখেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। ডেলিভারি শুরু হলে আরও ১০০টি যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া হতে পারে বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর। এদিন যখন প্রথম প্রথম তেজস মার্ক ওয়ান এ সরবরাহ করার কথা হ্যাল জানাল, তখন আবার শোনা যাচ্ছে ভারতের নিজস্ব এই যুদ্ধবিমান কিনতে আগ্রহী মিশর, মালয়েশিয়া ও ব্রাজিলের মতো অন্তত সাত-আটটি দেশ।