Supreme Court: ‘৩ বছরের সুখী দাম্পত্যে হঠাৎ কী হল?’ মহারাষ্ট্রে আস্থাভোটে প্রাক্তন রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

Shiv Sena VS Shiv Sena: শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি নিজেই প্রশ্ন করেন, "ওরা (মহা বিকাশ আগাড়ি জোট) একসঙ্গে সরকার পরিচালন করেছে। কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে নিজেদের মুখে অন্ন তুলেছে। তাহলে হঠাৎ তিন বছরের সুখী দাম্পত্যে রাতারাতি কী হল?"

Supreme Court: '৩ বছরের সুখী দাম্পত্যে হঠাৎ কী হল?' মহারাষ্ট্রে আস্থাভোটে প্রাক্তন রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2023 | 7:25 AM

নয়া দিল্লি: ২০২২ সালে রাজনৈতিক চর্চায় শীর্ষে ছিল শিবসেনার বিরোধ। দলের অন্দরেই ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ৪০ বিধায়ককে নিয়ে একনাথ শিন্ডের বেরিয়ে আসা এবং বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাতারাতি যেভাবে মহা বিকাশ আগাড়ি জোট সরকারের পতন ঘটিয়ে নতুন জোট সরকার গড়া হয়েছে, তাতে বদলে গিয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতির প্রেক্ষাপট। তবে সরকার নিয়ে টানাটানিতেই বিরোধ থেমে থাকেনি। শিবসেনা দলের নাম, প্রতীক নিয়েও দুই শিবিরের লড়াই হয়। মহারাষ্ট্রের সরকার পতন ও নতুন সরকার গঠন নিয়ে টানাপোড়েনের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট অবধি গড়িয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতেই এবার মহারাষ্ট্রের তৎকালীন রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। মহা বিকাশ আগাড়ি জোট কীভাবে ভাঙল, সে বিষয়েও জানতে আগ্রহ দেখান তিনি।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টে মহারাষ্ট্র সরকার নিয়ে উদ্ধব ঠাকরে বনাম একনাথ শিন্ডে শিবিরের মামলায় শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, “একজন রাজ্য়পালকে অত্য়ন্ত সতর্কতার সঙ্গে নিজের ক্ষমতা ব্য়বহার করা উচিত। আস্থা ভোটের কারণে সরকারের পতন হতে পারে, এই বিষয়েও তাঁর সচেতন থাকা উচিত।”

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের তরফে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে বলা হয়, “একজন রাজ্য়পালের এমন কোনও ক্ষেত্রে নাক গলানো উচিত নয়, যা রাজ্যের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। এতে মানুষ হঠাৎ শাসক দলকে ছেড়ে দেবে আর রাজ্য়পাল সেই শাসক দলকে ক্ষমতাচ্য়ুত করতেই সাহায্য করবেন। এটি গণতন্ত্রের জন্য দুঃখজনক দৃশ্য় হবে।”

শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি নিজেই প্রশ্ন করেন, “ওরা (মহা বিকাশ আগাড়ি জোট) একসঙ্গে সরকার পরিচালন করেছে। কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে নিজেদের মুখে অন্ন তুলেছে। তাহলে হঠাৎ তিন বছরের সুখী দাম্পত্যে রাতারাতি কী হল? রাজ্য়পালের নিজের উচিত ছিল এই প্রশ্ন করা যে তাহলে বিগত তিন বছর ধরে তোমরা কী করছিলে? যদি এটা নির্বাচন হওয়ার একমাস পরে ঘটত এবং তারপরে বিজেপির জোট ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিত, তাহলে বিষয়টি আলাদা হত। কিন্তু তিন বছর একসঙ্গে সরকার চালানোর পর হঠাৎ একদিন ৩৪ জনের শিবির বলল যে দলের অন্দরে অসন্তোষ রয়েছে! তিন বছর ধরে সরকারে থাকার যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পর হঠাৎ মনে হল এই কথা…”

শীর্ষ আদালতের তরফে বারংবার প্রশ্ন তোলা হয় যে কীসের ভিত্তিতে মহারাষ্ট্রে আস্থা ভোট হয়েছিল। প্রাক্তন রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে সরাসরি আক্রমণ করে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ” দলের অন্দরে বিধায়কদের মধ্য়ে বিরোধ  উন্নয়নমূলক প্রকল্পের টাকা বা দলের কোনও নীতি নিয়ে আপত্তির মতো বিষয়ে হতে পারে। কিন্তু এই বিষয়টি কি রাজ্যপালের আস্থাভোটের ডাক দেওয়ার মতো যথাযোগ্য ভিত্তি?”