Sanghai Co-Operation Organization: দূরত্ব ভুলে সাংহাই কো-অপারেশনের বৈঠকে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ ভারতের, ডাক পেলেন জারদারিও
India-Pakistan Relation: শুধু পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাই নয়, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সাংহাই কো-অপারেশনের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে।
নয়া দিল্লি: প্রতিবেশী দেশ হলেও পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক ভারতের (India)। একাধিকবার ভারত বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেও বারেবারে পিঠে ছুরি মেরেছে পাকিস্তান। সম্প্রতিই রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চেও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাদানুবাদ বাধে। এত কিছুর পরও কূটনৈতিক সৌজন্য বজায় রাখল ভারত। আসন্ন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (Sanghai Co-operation Organization) বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে। আগামী এপ্রিলেই নয়া দিল্লিতে এই বৈঠক হতে চলেছে। সূত্রের খবর, পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারতের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
জি-২০ সম্মেলনের পাশাপাশি বর্তমানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনেরও সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। চলতি বছরে একাধিক বৈঠক আয়োজন করার গুরুদায়িত্ব রয়েছে দিল্লির কাঁধে। সেই বৈঠকেই আমন্ত্রণ জানানো হল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে।
কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৯ মার্চ নয়া দিল্লিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্তরের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এরপরে ২৭ এপ্রিল হবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্তরের বৈঠক। দুই বৈঠকেই বাকি সদস্য দেশগুলির মতো পাকিস্তানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই বৈঠকে যোগ দিতে পারে চিন, রাশিয়া, কাজ়াকিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের তরফেও এই আমন্ত্রণ স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।
শুধু পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাই নয়, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সাংহাই কো-অপারেশনের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে। আগামী মে মাসে এই বৈঠক হওয়ার কথা। তবে জারদারি ভরতের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন কি না, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতিই রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে একাধিকবার কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছেন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। প্রতিবারই ভারতের তরফে সেই মন্তব্য়ের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এমনকী, গুজরাট দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্কেও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিলাওয়াল। এই পরিস্থিতিতে তিনি ভারতের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে নয়া দিল্লি আসেন কি না, তাই-ই এখন দেখার।
এর আগে সম্প্রতি সাংহাই কো-অপারেশনের সদস্য় দেশগুলির জন্য প্রধান বিচারপতিদের যে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর বন্দিয়াল যোগ দেননি। তাঁর পরিবর্তে বিচারপতি মুনীব আখতার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্য়মে যোগ দিয়েছিলেন।