Congress: আজ কাঁদছে কিন্তু সেদিন কৃষক কল্যাণের বিষয়ে কী করেছিল কংগ্রেস?

Swaminathan Commission: ২০২০ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার ঘোষণা করেছিলেন, সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন, স্বামীনাথনের কমিটির ২০১টি সুপারিশের মধ্যে ২০০টি সুপারিশই গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে, কংগ্রেস এখন কৃষকদের দাবি নিয়ে সুর চড়ালেও, ২০১০ সালে ইউপিএ জমানায় কংগ্রেস স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশই খারিজ করে দিয়েছিল।   

Congress: আজ কাঁদছে কিন্তু সেদিন কৃষক কল্যাণের বিষয়ে কী করেছিল কংগ্রেস?
কৃষক আন্দোলনে ফের উত্তাল দিল্লি।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Feb 14, 2024 | 12:29 PM

নয়া দিল্লি: ২০১৯ সালের শেষভাগ ও ২০২০ সালের গোড়ায় রাজধানী তথা গোটা দেশ উত্তাল হয়েছিল কৃষক আন্দোলনে (Farmers Protest)। কেন্দ্রের আনা তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা। তিন আইন প্রত্যাহারের পাশাপাশি কৃষকদের অন্যতম দাবি ছিল, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি বা এমএসপি নিয়ে আইন। এই আইনের দাবি কিন্তু আজকের নয়, ২০১০ সাল থেকেই এমএসপি(MSP)র দাবি করছেন কৃষকরা। বিশিষ্ট কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথনের (M S Swaminathan) কমিটির সুপারিশ কার্যকর করার দাবি রয়েছে আন্দোলনকারী কৃষকদের।

ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আইন তৈরির আগে একদিকে যেমন কেন্দ্রের তরফে সাবধানতা অবলম্বন ও সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে, সেখানেই সম্প্রতি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ক্ষমতায় আসলে স্বামীনাথন কমিশনের সমস্ত সুপারিশ কার্যকর করা ও এমএসপি নিয়ে আইন চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

২০২০ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার ঘোষণা করেছিলেন, সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন, স্বামীনাথনের কমিটির ২০১টি সুপারিশের মধ্যে ২০০টি সুপারিশই গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে, কংগ্রেস এখন কৃষকদের দাবি নিয়ে সুর চড়ালেও, ২০১০ সালে ইউপিএ জমানায় কংগ্রেস স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশই খারিজ করে দিয়েছিল।

স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ- 

বিশিষ্ট কৃষিবিদ এম এস স্বামীনাথনের নেতৃত্বাধীনে ন্যাশনাল কমিশন অন ফার্মাসের তরফে ২০০৪ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে পাঁচটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল। সেই রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছিল যে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য যেন ওজন করা ফসলের গড় মূল্যের থেকে ৫০ শতাংশ বেশি হয়।

সুপারিশ খারিজ ও তার যুক্তি-

ইউপিএ সরকার এই সুপারিশ গ্রহণ করেনি। সংসদে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, সরকারের তরফে এর স্বপক্ষে যুক্তি দেওয়া হয় যে কৃষিজাত পণ্য ও মূল্য কমিশনের তরফে বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি ধার্য করা হয়েছে। স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ফসলের দামের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ এমএসপি দিলে, তা বাজারে সমতা নষ্ট করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এমএসপির সঙ্গে ফসল উৎপাদনের মূল্য যদি যোগ করা হয়, তবে ফসলের মূল্য ধাক্কা খেতে পারে।