Afghanistan Minister Press Meet: তালিবানি ফতোয়া ভারতেও? মহিলা সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হল না আফগান মন্ত্রীর প্রেস মিটে
Afghanistan Minister Controversy: ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই খর্ব করা হয়েছে নারী স্বাধীনতা। শিক্ষা থেকে শুরু করে পোশাক, স্বাধীনভাবে হাঁটাচলা, চাকরি- সব অধিকারই একে একে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাই বলে ভারতে এসেও মহিলাদের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো?

নয়া দিল্লি: ভারতেও তালিবানি নিয়ম? আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এসেছেন ভারত সফরে। সেখানে তিনি সাংবাদিক বৈঠকও করেন। তবে তাতে একটা শর্ত ছিল। কোনও মহিলা সাংবাদিক থাকতে পারবেন না সেই সাংবাদিক বৈঠকে। আফগানিস্তানের মতো ভারতেও এই ফতোয়া জারি করা নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়। শেষে ভারত সরকারকে দিতে হল সাফাই। কী বলল কেন্দ্র সরকার?
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই খর্ব করা হয়েছে নারী স্বাধীনতা। শিক্ষা থেকে শুরু করে পোশাক, স্বাধীনভাবে হাঁটাচলা, চাকরি- সব অধিকারই একে একে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাই বলে ভারতে এসেও মহিলাদের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো? আফগান বিদেশমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকে মহিলা সাংবাদিকদের নো-এন্ট্রি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। শেষে আজ, শনিবার কেন্দ্রের তরফে সাফাই দিয়ে বলা হল যে এতে তাদের কোনও ভূমিকা ছিল না।
বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, সাংবাদিক বৈঠকে কোন সাংবাদিকরা থাকতে পারবেন, তার জন্য সাংবাদিকদের তালিকা আফগানিস্তান কনস্যুল জেনারেলে পাঠানো হয়েছিল। আফগান দূতাবাস ভারত সরকারের আইনের আওতায় আসে না বলেই জানানো হয়েছে।
শুক্রবার নয়া দিল্লির আফগানিস্তান দূতাবাসে সাংবাদিক বৈঠক হয়। সেখানে কোনও মহিলা উপস্থিত ছিলেন না। কয়েকজন মহিলা সাংবাদিক প্রবেশ করতে চাইলেও, তাদের বাধা দেওয়া হয়। অনেক সাংবাদিকই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন। তারা জানান যে উপস্থিত মহিলা সাংবাদিকরা শালীন পোশাক পরেই গিয়েছিলেন, তাও তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
এই ঘটনা নিয়ে বিরোধীরাও প্রশ্ন তুলেছে। কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই ঘটনায় তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। তিনি বলেন, “কীভাবে দেশের অন্যতম দক্ষ মহিলাদের এভাবে অপমান করা হল, যেখানে মহিলারা দেশের শিরদাঁড়া ও গর্ব”। প্রাক্তন মন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেন যে বাকি সাংবাদিকদেরও উচিত ছিল যে প্রেস মিট ছেড়ে চলে আসা।
