দেশে ক্রমশ উর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬৮ হাজার মানুষ। বেড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। ইতিমধ্যেই দেশের ২৮টি রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রন সংক্রমণ। করোনা নিয়ে বিধিনিষেধ জারি করা হলেও দেশের একাধিক প্রান্তে ধরা পড়ছে নিয়ম ভাঙার চিত্র। করোনা ও ওমিক্রন সংক্রান্ত যাবতীয় আপডেট দেখে নিন একনজরে-
দেশের বড় শহরগুলির মধ্যে কোথায় করোনা পরিস্থিতি কীরকম –
দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ – ২০ হাজার ৭১৮ জন
মুম্বইয়ে করোনা সংক্রমণ – ১০ হাজার ৬৬১ জন
বেঙ্গালুরুতে করোনা সংক্রমণ – ২২ হাজার ২৮৪ জন
কলকাতায় করোনা সংক্রমণ – ৪ হাজার ৮৩১ জন
চেন্নাইয়ে করোনা সংক্রমণ – ৮ হাজার ৯৭৮ জন
চেন্নাইয়ে আরিগনার আন্না জুলজিক্যাল পার্ক ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন চিড়িয়াখানার এক আধিকারিক। কোভিডের দ্রুত বিস্তার এড়াতে, জুওলজিক্যাল পার্ক ১৭ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওমিক্রনকে হালকাভাবে না নেওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। প্রতিটি সংক্রমণই ভাইরাসকে পরিবর্তিত হওয়ার সুযোগ দেয়। ওমিক্রনও তার আগের ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় কিছুটা এগিয়ে। ভ্যাকসিন এবং পূর্বের অসুস্থতা থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। অর্থাৎ, অনুমান করা যেতে পারে, আরও বেশি লোক যাদের মধ্যে ভাইরাসটি আরও বিকশিত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওমিক্রনের পরে আরও ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে, মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
রাজধানীতে টানা দ্বিতীয় দিন কমল করোনার সংক্রমণ (COVID 19 cases in Delhi)। যদিও সংক্রমণের হার এখনও ৩০ শতাংশের উপরে। গত ২৪ ঘণ্টায়, দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৭১৮ জন। এই নিয়ে রাজধানী এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৮৪। দিল্লি সরকারের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায়, ৩০ জন রোগী করোনায় মারা গিয়েছেন। দিল্লিতে এই নিয়ে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫ হাজার ৩৩৫। দিল্লিতে সুস্থও হয়ে উঠতে শুরু করেছেন অনেকে। গত ২৪ ঘণ্টায়, ১৯ হাজার ৫৫৪ জন করোনা মুক্ত হয়েছেন। দিল্লিতে বর্তমানে মোট সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজার ৪০৭ জন। সক্রিয় রোগীদের মধ্যে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৫৪ জন। এই মুহূর্তে রাজধানীতে করোনা হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা আড়াই হাজারের কিছু বেশি। তাঁদের মধ্যে ৭২৪ জন ভর্তি রয়েছেন আইসিইউতে, ৮৮৭ জন রয়েছেন অক্সিজেন সাপোর্টে এবং ১১৩ জন রয়েছেন ভেন্টিলেটরে।
আরও পড়ুন : টানা দু’দিন কমল রাজধানীর দৈনিক সংক্রমণ, পজিটিভিটি রেট এখনও ৩০ শতাংশ
মুম্বইয়ে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। গতকালের তুলনায় বেশ কিছুটা কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মুম্বই শহরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৬৬১ জন। যা গতকালের তুলনায় ৫.৮ শতাংশ কম। এর পাশাপাশি পজিটিভিটি রেটও সামান্য কমেছে।
দিল্লিতে কিছুটা কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ২০ হাজার ৭১৮ জনের শরীরে সংক্রমণের সন্ধান মিলেছে। মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছেন ৯৩ হাজার ৪৯৭। উল্লেখ্য, শুক্রবার দিল্লিতে ২৪ হাজার ৩৮৩ জনের শরীরে করোনার হদিশ মিলেছিল।
খড়গপুর আইআইটির আরও আট পড়ুয়া সহ ২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার তাঁদের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। শনিবার খড়গপুর আইআইটির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নতুন রোগীদের মধ্যে প্রিমিয়ার ইনস্টিটিউটের ১২ জন ফ্যাকাল্টি সদস্য এবং অশিক্ষক কর্মী রয়েছেন। আইআইটি খড়গপুরের রেজিস্ট্রার তমাল নাথ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, “গত দুই-তিন দিনে নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। আইআইটি কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই সংক্রমণ রোধের জন্য পরীক্ষা এবং আক্রান্তদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাঁদের শণাক্তকরণে শুরু করেছে।”
করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় এবার আরও কড়াকড়ি অসমে। যাদের সম্পূর্ণ টিকাকরণ এখনও হয়নি, তাদের রবিবার অর্থাৎ আগামিকাল থেকে জেলা আদালত, হোটেল, বাজার সহ কোনও সর্বজনীন স্থানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এমনটাই জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি আরও জানিয়েছেন, অসমে এখনও লকডাউনের কোনও পরিস্থিতি নেই। তবে মাস্ক পরা আবশ্যিক।
হরিয়ানায় ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী যে কিশোর কিশোরীদের এখনও টিকা দেওয়া হয়নি, তাদের এখন স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এমনটাই জানিয়েছেন হরিয়ানার মন্ত্রী অনিল ভিজ।
Children in the age group pf 15 to 18 years will not be allowed to enter schools when they reopen.Parents are requested to get their wards vaccinated to ensure their protection from COVID
— ANIL VIJ MINISTER HARYANA (@anilvijminister) January 15, 2022
করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে গোটা দেশের একটি বড় অংশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতরের একজন সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিং থেকে দেখা গিয়েছে ভাইরাসের ডেল্টা স্ট্রেন এখনও সে রাজ্যে বেশিরভাগ সংক্রমণের জন্য দায়ী। স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব চিকিৎসক প্রদীপ ব্যাস বুধবার তাঁর সহকর্মীদের কাছে লেখা একটি চিঠিতে বলেছেন ৪ হাজার ২০০ টিরও বেশি নমুনা বিশ্লেষণের পর ৬৮ শতাংশ নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে।
কেরলে শনিবার আরও ৪৮ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এই নিয়ে সে রাজ্যে মোট ওমিক্রনে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫২৮। এমনটাই জানিয়েছে কেরলের স্বাস্থ্য দফতর। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, ৪৮ জন ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যে ৩৩ জনই কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে এসেছেন এবং দুই জন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে এসেছেন। এর পাশাপাশি আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসে ৯ জন সংক্রমিত হয়েছেন এবং আরও চারজন ভিন রাজ্যের বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত।
পশ্চিমবঙ্গে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হল করোনার বিধিনিষেধ। তবে এ ক্ষেত্রে আরও কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। নবান্নের তরফে কোভিড নিয়ম বিধি মেনে খোলা মাঠে মেলার অনুমতি দিয়েছে। এর পাশাপাশি বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যা ৫০ জন থেকে বাড়িয়ে ২০০ জন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দিল্লির করোনা আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করে প্রমাণ মিলল গোষ্ঠী সংক্রমণের। নয়া দিল্লির ইন্সটিটিউট অব লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সের ভাইরোলজি বিবাগের তরফে এই তথ্য জানানো হল।
Evidence of early community transmission of Omicron (B1.1.529) in Delhi: Department of Clinical Virology at the Institute of Liver and Biliary Sciences (ILBS), New
Delhi— ANI (@ANI) January 15, 2022
শুক্রবার সকাল থেকেই প্রয়াগরাজের জেলা শাসক সঞ্জয় কুমার ক্ষত্রি, মেলা অধিকারিক শেষমণি পাণ্ডে ও পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অজয় কুমার প্রয়াগরাজের ভিআইপি ঘাট, সঙ্গম, আরাইল ঘাট সহ একাধিক বড় ঘাটগুলি পরিদর্শন করে দেখেন। মেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গতকালই আগত পুণ্যার্থীদের মধ্য়ে ৬৫ হাজার মাস্ক বিলি করা হয়েছে। এছাড়া মেলায় প্রবেশের জন্য যে ১৬টি প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে, প্রত্য়েকটিতে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। গাড়ির পার্কিং এলাকাতেও একইভাবে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াগরাজ জেলা প্রশাসনকেও সম্পূর্ণ করোনাবিধি যাতে অনুসরণ করা হয়, সেই নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। জেলা প্রশাসনের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, মেলায় আসতে হলে সকল দর্শনার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। এছাড়া ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটও থাকতে হবে সকলের কাছে। করোনাবিধি না মানলে জরিমানার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
গোটা দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (COVID-19)। এদিকে সংক্রমণের দুটি ঢেউ পার করেও হুঁশ ফিরছে না সাধারণ মানুষের। শুক্রবার মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) উপলক্ষে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন ঘাটে যে হারে পুণ্যার্থীদের ভিড় দেখা গেল, তাতে করোনাবিধির লেশমাত্রও দেখা গেল না। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যেই উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে (Prayagraj) শুরু হয়েছে মাঘ মেলা। শুক্রবার সকাল থেকেই উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় সেখানে। গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটেও পুণ্য অর্জনের আশায় বাচ্চা থেকে বুড়োদের ভিড় দেখা যায়। মাঘ মেলায় বিকেল ৬টা অবধিই প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ পুণ্যস্নান সেরেছেন বলে জানা গিয়েছে।
দক্ষিণের রাজ্যগুলির মধ্যে কেরলে বিগত এক সপ্তাহ ধরেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে নতুন করে ১৬ হাজার ৩৮৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, তামিলনাড়ুতেও শুক্রবার ২৩ হাজার ৪৫৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
রাজ্য ভিত্তিক সংক্রমণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্রই। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৪৩ হাজার ২১১ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। এই নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭১ লক্ষ ২৪ হাজার ২৭৮-এ। এরমধ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩৮৭।
করোনার পাশাপাশি উর্ধ্বমুখী ওমিক্রন সংক্রমণও। বর্তমানে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৪১। দেশের ২৮টি রাজ্য় ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন। এই নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ কোটি ৬৭ লক্ষ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্য়া বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ লক্ষ ১৭ হাজার ৮২০-তে। দেশের মোট আক্রান্তের ৩.৮৫ শতাংশ সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। এদিকে, সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুহারও বেশ কিছুটা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪০২ জনের জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়াল ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৭৫২-এ। বিগত একদিনে সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ২২ হাজার ৬৮৪ জন। এই নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩৯০ -এ বেড়ে দাঁড়াল।
কলকাতা: করোনা সংক্রমণ বাড়তেই ফের চিন্তার ভাঁজ। কলকাতায় ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ফের কলকাতায় বাড়ল মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োনের (Micro Containment Zone) সংখ্যা। এ বার, ২৯ থেকে একধাক্কায় ৪৪ টি মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন নতুন করে ঘোষণা করল কলকাতা পুরসভা। প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই কনটেইনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা কমানো হয়েছিল। ফের বাড়িয়ে দেওয়া হল মাইক্রোকনটেইনমেন্ট জ়োন।
বিস্তারিত পড়ুন: Micro Containment Zone in Kolkata: ২৯ থেকে ৪৪! ফের কলকাতায় বাড়ল মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন
শুক্রবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানান, চিন্তার কোনও কারণ নেই। হাসপাতালে রোগী ভর্তি ও মৃত্যুর হার এখনও কম রয়েছে। তিনি বলেন, “রাজ্যে দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে, এই বিষয়ে কোনও দ্বিধা নেই। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত সংক্রামক, দ্রুত সাধারণ মানুষের মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। তবে হাসপাতালে রোগী ভর্তি ও মৃত্যু হার কম থাকায় চিন্তার কোনও কারণ নেই।”
এদিকে, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা শুক্রবারই ২৮ হাজার থেকে নেমে দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৩৮৩ জন, যা আগের দিনের তুলনায় ১৫.৫ শতাংশ কম। আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও, হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা এখনও তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ২৫২৯ জন করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ৮১৫ জন অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন। তাদের মধ্যে আবার ৯৯ জন রোগী ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন।
শুক্রবার দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৮৩ জন, যা আগের দিনের তুলনায় ১৫.৫ শতাংশ কম। তবে দিল্লিতে সংক্রমণের হার (Positivity Rate) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০.৬৪ শতাংশে। বর্তমানে দিল্লির সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশ, যা বিগত ৮ মাসে সর্বোচ্চ হার। এর আগে গত বছরের ১ মে দিল্লিতে সংক্রমণের হার ছিল ৩১.৬ শতাংশ। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যেভাবে দিল্লি তথা গোটা দেশকেই হাসপাতালের শয্যা ও অক্সিজেনের জন্য লড়াই করতে হয়েছিল, সেই পরিস্থিতি এখনও সৃষ্টি হয়নি দেশে।
আড়াই লাখের গণ্ডি পার করার পরই গতি ধীর হয়েছে সংক্রমণের। দেশে খুব সামান্য়ই বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬৮ হাজার জন, যা গতকালের তুলনায় সামান্য বেশি। দেশে সংক্রমণের হার ১৪.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.৬ শতাংশে।