Delhi’s COVID-19 Cases: আজ ২৮ হাজার তো কাল ২৪ হাজার! কী ইঙ্গিত দিচ্ছে দিল্লির করোনার রেখাচিত্রের ওঠানামা?
Delhi's COVID-19 Cases: দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা শুক্রবারই ২৮ হাজার থেকে নেমে দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৩৮৩ জন, যা আগের দিনের তুলনায় ১৫.৫ শতাংশ কম। আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও, হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা এখনও তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম।
নয়া দিল্লি: নতুন বছরের শুরু থেকেই করোনার (CoVID-19) উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখছিল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। মাসের মাঝামাঝি সময়ে পৌঁছতেই হঠাৎ করে পতন হল সংক্রমণের হারে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৮৩ জন, যা আগের দিনের তুলনায় ১৫.৫ শতাংশ কম। তবে দিল্লিতে সংক্রমণের হার (Positivity Rate) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০.৬৪ শতাংশে।
উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের হার:
বর্তমানে দিল্লির সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশ, যা বিগত ৮ মাসে সর্বোচ্চ হার। এর আগে গত বছরের ১ মে দিল্লিতে সংক্রমণের হার ছিল ৩১.৬ শতাংশ। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যেভাবে দিল্লি তথা গোটা দেশকেই হাসপাতালের শয্যা ও অক্সিজেনের জন্য লড়াই করতে হয়েছিল, সেই পরিস্থিতি এখনও সৃষ্টি হয়নি দেশে।
মৃত্যু হারের ওঠানামা:
কেবল সংক্রমণ নয়., মৃত্যু হারেও ওঠানামা দেখা যাচ্ছে দিল্লিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে করোনা সংক্রমণে মৃত্য়ু হয়েছে ৩৪ জনের। এই নিয়ে দিল্লিতে সংক্রমণে মোট মৃতের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়াল ২৫ হাজার ৩০৫-এ। এর আগে বুধবার দিল্লিতে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল ৪০ জনের, যা গত বছরের ১০ জুনের পর সর্বোচ্চ দৈনিক মৃতের সংখ্যা।
সংক্রমণের ওঠানামা কী ইঙ্গিত দিচ্ছে?
বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ছিল ২৮ হাজার ৮৬৭। যা সংক্রমণের শুরু থেকে সর্বোচ্চ দৈনিক বৃদ্ধি ছিল। একদিনেই মৃত্য়ু হয়েছিল ৩১ জনের। রাজধানীতে সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২৯.২১ শতাংশে। এর আগে গত বছরের ২০ এপ্রিল দিল্লিতে ২৮ হাজার করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল।
এদিকে, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা শুক্রবারই ২৮ হাজার থেকে নেমে দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৩৮৩ জন, যা আগের দিনের তুলনায় ১৫.৫ শতাংশ কম। আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও, হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা এখনও তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ২৫২৯ জন করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ৮১৫ জন অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন। তাদের মধ্যে আবার ৯৯ জন রোগী ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন।
শুক্রবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানান, চিন্তার কোনও কারণ নেই। হাসপাতালে রোগী ভর্তি ও মৃত্যুর হার এখনও কম রয়েছে। তিনি বলেন, “রাজ্যে দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে, এই বিষয়ে কোনও দ্বিধা নেই। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত সংক্রামক, দ্রুত সাধারণ মানুষের মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। তবে হাসপাতালে রোগী ভর্তি ও মৃত্যু হার কম থাকায় চিন্তার কোনও কারণ নেই।”