Manik Bhattacharya in ED Custody: ১৪ দিনের ED হেফাজতে মানিক, চাকরি প্রার্থীদের কথা বলে সওয়াল তদন্তকারী সংস্থার
Manik Bhattacharya in ED Custody: সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় মানিককে। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় ইডি।
কলকাতা : ধোপে টিকল না, মানিক ভট্টাচার্যের কোনও যুক্তি। ইডি-র আবেদনই মেনে নিল আদালত। মঙ্গলবার সওয়াল-জবাব শেষে মানিককে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা আবেদন জানিয়েছিল ইডি। আদালতের নির্দেশের পর এবার আগামী ১৪ দিন মানিকের ঠিকানা হতে চলেছে সিজিও কমপ্লেক্স। সেখানেই জেরা করা হবে তাঁকে।
সোমবার ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল মানিককে। সকালের দিকেই সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর একটানা কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। প্রশ্নের পর প্রশ্ন ছু়ড়ে দেন তদন্তকারীরা। পরে রাতের দিকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। বেখ কিছুক্ষণ ধরে চলে সওয়াল জবাব।
মানিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে কী কী পাওয়া গিয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য পেশ করার পাশাপাশি, নিয়োগ দুর্নীতিতে কী ভাবে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন, সে কথাও উল্লেখ করেছেন ইডি-র আইনজীবী। এ দিন আদালতে যোগ্য প্রার্থীদের কথা বলে সওয়াল করেন আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘যাঁরা যোগ্য নয় তাঁরা এখন স্কুল কলেজে পড়াচ্ছেন। কী হবে এই রাজ্যের ভবিষ্যত? এখনও অনশন করছেন যোগ্যরা। যাঁরা যোগ্য অথচ টাকা দিতে পারেননি তাঁদের চাকরি হয়নি। যাঁরা টাকা দিয়েছেন, তাঁদের চাকরি হয়েছে।’ তাই মানিককে হেফাজতে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে উল্লেখ করে ইডি।
যদিও মানিকের যুক্তি ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর নেই। কোনও রকম অসহযোগিতাও তিনি করেননি, সম্পত্তির হিসেব দিয়েছেন। তাই ইডি-র আবেদন খারিজ করা হোক। কিন্তু সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি। মানিককে জেরা করলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছে ইডি।
উল্লেখ্য, এ দিন মানিককে আদালতে পেশ করার আগে উত্তাল হয়ে ওঠে কোর্ট চত্বর। মানিক যখন প্রবেশ করছিলেন, সেই সময় বাইরে ওঠে চোর চোর স্লোগান। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের নেতৃত্বে জুতো হাতে বিক্ষোভও দেখান অনেকে।