Delhi Ordinance Law: কেজরীর ক্ষমতায় কাঁচি, আইনে পরিণত হল দিল্লি অধ্য়াদেশ বিল, আরও ৩ বিলে স্বাক্ষর রাষ্ট্রপতির
President Droupadi Murmu: গত ১ অগস্ট লোকসভায় ন্যাশনাল ক্য়াপিটাল টেরিটরি অব দিল্লি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল বা দিল্লি অধ্য়াদেশ বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে এই বিল পাশ করা হয়। এরপরে গত ৭ অগস্ট রাজ্যসভাতেও দিল্লি অধ্যাদেশ বিল পেশ করা হয়।
নয়া দিল্লি: সংসদে বিরোধীদের হাজারো বাধা সত্ত্বেও লোকসভা ও রাজ্যসভা-দুই কক্ষেই পাশ হয়ে গিয়েছিল বিতর্কিত দিল্লি অধ্য়াদেশ বিল বা দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল (Delhi Ordinance Bill)। আজ, শনিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu) সেই বিলে সাক্ষর করাতেই দিল্লি অধ্যাদেশ বিল আইনে (Law) পরিণত হল। এর ফলে দিল্লিতে আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষমতা এবার থেকে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতেই থাকবে।
শনিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু চারটি বিলে সাক্ষর করেন, যেগুলি চলতি বাদল অধিবেশনে সংসদে পাশ করা হয়। এই বিলগুলি হল- ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল, দ্য রেজিস্ট্রেশন অব বার্থস অ্যান্ড ডেথস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, জন বিশ্বাস (বিধান সংশোধন) বিল ও গর্ভমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্য়াপিটাল টেরিটরি অব দিল্লি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল।
গত ১ অগস্ট লোকসভায় ন্যাশনাল ক্য়াপিটাল টেরিটরি অব দিল্লি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল বা দিল্লি অধ্য়াদেশ বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে এই বিল পাশ করা হয়। এরপরে গত ৭ অগস্ট রাজ্যসভাতেও দিল্লি অধ্যাদেশ বিল পেশ করা হয়। রাজ্যসভায় ভোটাভুটিতে এই বিলের পক্ষে ১৩১টি ভোট পড়ে। বিপক্ষে ভোট দেন ১০২ জন। সংসদের দুই কক্ষে এই বিল পাশ করার পর অপেক্ষা ছিল কেবল রাষ্ট্রপতির সাক্ষরের।
দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টির তরফে প্রথম থেকেই এই বিলের বিরোধিতা করা হচ্ছিল। এই বিলকে সবথেকে ‘অগণতান্ত্রিক বিল’ বলেই আখ্যা দেন তাঁরা।
কী বলা হয়েছে এই আইনে?
দিল্লি অধ্য়াদেশ বিল, যা আজ আইনে পরিণত হল, তাতে মূলত আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষমতা রাজ্য সরকারের বদলে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্র বনাম রাজ্য সরকারের বিরোধ চলছিল। সম্প্রতিই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দিল্লির পুলিশ, প্রশাসন ও জমি ছাড়া বাকি প্রশাসনিক ক্ষমতা রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সুপ্রিম রায়ের পরই আমলাদের নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের তরফে দিল্লি অধ্যাদেশ বিল আনা হয়।