উত্তর প্রদেশ: এখনও ডেঙ্গির প্রকোপ কমছে না উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh)। একের পর এক জেলায় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে ডেঙ্গি (Dengue)। সূত্রের খবর, গাজ়িয়াবাদে(Ghaziabad) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন।
জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসার জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ইতিমধ্যে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ক্যাম্পেন শুরু করেছেন। সার্ভে করে দেখা হচ্ছে কারও বাড়িতে মার্শার লার্ভা রয়েছে কিনা। সতর্ক করার পরও একই বাড়িতে পুনরায় যদি লার্ভা মেলে তাহলে সেই পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে জানানো হয়েছে, এখনও অবধি কোনও রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। যে রোগী ডেঙ্গি নিয়ে আসছেন তাদের প্রত্যেককেই সরকারি অথবা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পাঠানো হচ্ছে।
উত্তর প্রদেশে ডেঙ্গি পরিস্থিতি সামাল দিতে যথেষ্ট তৎপর যোগী সরকার। বর্তমানে পরিস্থিতি খারাপ হলেও দু’মাস আগে এতটা খারাপ ছিল না। আক্রান্ত্রের নিরিখে কেরল, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ অনেক বেশি। পিছিয়ে নেই এই রাজ্যও।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর গোটা রাজ্যের মধ্যে সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি ফিরোজ়াবাদে। সেই সময় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয় অনেকেই। ক্রমাগত বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে হাসপাতালগুলিতে শয্যার অভাব দেখা দেয়।
একে তো করোনা তার উপর আবার নতুন করে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ডেঙ্গু। দেশের অন্তত ১১ টি রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হতে শুরু করেছে। আর এই নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। গতকাল, সেরোটাইপ -২ ডেঙ্গি থেকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক।
এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব রাজীব গৌড়ার সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। মূলত দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি এবং তার মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েই আলোচনা হয় বৈঠকে। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে দেশের অন্তত ১১ টি রাজ্যে বাড়তে থাকা ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়েও কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। রাজ্যগুলি ডেঙ্গি হয়েছে কি না, তা যাতে দ্রুত শনাক্ত করা হয়, জ্বর সংক্রান্ত তথ্যের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করা সহ যে পদক্ষেপগুলি করেছে, সেই সব নিয়েই কথা হয় আজকের বৈঠকে। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত টেস্টিং কিট এবং কেন এই প্রকোপ বাড়ল তার জন্য ব়্যাপিড রেসপন্স টিম পাঠানোর কথাও হয়েছে। একইসঙ্গে জ্বর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা, কনট্যাক্ট ট্রেসিং এবং ভেক্টর কন্ট্রোল নিয়ে কথা হয় আজকের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে।
ডেঙ্গি হলে অন্যতম বড় যে সমস্যাটি হয়, তা হল রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা হঠাৎ অনেকটা কমে যায়। আর এই সমস্যা মোকাবিলায় ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে যাতে পর্যাপ্ত পরিমানে রক্ত এবং বিশেষ করে প্লেটলেট মজুত থাকে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : Afghanistan crisis: কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৮০ ডিগ্রি পাল্টি খেলেন ইমরান
আরও পড়ুন : Punjab Chief Minister: পঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন চরণজিৎ সিং চন্নি, ঘোষণা কংগ্রেসের