নয়া দিল্লি: লোকসভা ভোটের যত দফা এগোচ্ছে, ততই পারদ চড়ছে রাজনীতির। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে শাসক-বিরোধী দলগুলি একে অপরকে আক্রমণ করছেন। সম্প্রতিই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)-ও একে অপরকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (Election Commission of India) অভিযোগও করেছে বিজেপি-কংগ্রেস (BJP-Congress)। এবার সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই নোটিস পাঠাল কমিশন।
লোকসভার নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী একে অপরকে যে আক্রমণ করেছেন, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি। ঘৃণামূলক মন্তব্য ও বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এরপরই আজ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে বিজেপি, কংগ্রেস- দুই দলকেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের কাছ থেকে তাদের দলের নেতাদের ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জবাব চাওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ এপ্রিল, সকাল ১১টার মধ্যে দুই নেতাকে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
দুই পাতার বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তারকা প্রচারকদের কাছ থেকে উচ্চ মানের বক্তৃতা আশা করা হয়, কিন্ত অনেক সময় নির্বাচনের উত্তাপে তারা নিম্ন স্তরে নেমে আসে। দলগুলির প্রাথমিক দায়িত্ব তাদের প্রার্থীদের, বিশেষ করে তারকা প্রার্থীদের আচরণ স্থির করার। এক্ষেত্রে বিজেপির জেপি নাড্ডা ও কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে তাদের তারকা প্রচারকদের আচরণ ও মন্তব্যে রাশ টানতে বলা হয়েছে। এর আগে কংগ্রেসের সুপ্রিয়া শ্রীনাথ ও বিজেপির দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়েও দলকে সতর্ক করেছিল নির্বাচন কমিশন।
বিজেপির তরফে কমিশনের এই নোটিসের কোনও জবাব দেওয়া না হলেও, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ নির্বাচন কমিশনকেই কটাক্ষ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সময়ে তারা অতি সতর্ক হয়ে যায়।