জঙ্গিদের কব্জায় বাবা, মুক্ত করতে ময়দানে জয়শঙ্কর! ৮৬-র বিমান অপহরণের গোপন তথ্য ফাঁস বিদেশমন্ত্রীর

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Sep 14, 2024 | 5:44 PM

Flight Hijack: কান্দাহার  বিমান হাইজ্যাক নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, "১৯৮৪ সালে একটি বিমান হাইজ্যাক হয়েছিল। তখন আমি আধিকারিক পদে ছিলাম। সরকারের তরফে যে টিম তৈরি করা হয়েছিল, তার সদস্য ছিলাম আমি।"

জঙ্গিদের কব্জায় বাবা, মুক্ত করতে ময়দানে জয়শঙ্কর! ৮৬-র বিমান অপহরণের গোপন তথ্য ফাঁস বিদেশমন্ত্রীর
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
Image Credit source: PTI

Follow Us

জেনেভা: চর্চায় কান্দাহার বিমান হাইজ্যাক। ১৯৯৯ সালে ১১ জন ক্রু ও ১৭৯ জন যাত্রীকে নিয়ে কাঠমাণ্ডু থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের আইসি ৮১৪ বিমান। সেই বিমানই হাইজ্যাক করে পাকিস্তান, অমৃতসর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি হয়ে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আফগানিস্তানের কান্দাহারে। সাতদিনের দর কষাকষির পর অবশেষে উদ্ধার করা গিয়েছিল যাত্রীদের। ভারতের ইতিহাসে সবথেকে বড় ও ভয়ঙ্কর বিমান হাইজ্যাকের ঘটনা ছিল এটি। কিন্তু জানেন কি, তার আগে ১৯৮৪ সালেও হাইজ্যাক হয়েছিল আরেকটি ভারতীয় বিমান? সেই বিমান হাইজ্যাকের কাহিনিই এত বছর বাদে উঠে আসল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কথায়। জানালেন, ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের আইসি ৪২১ বিমান হাইজ্যাক হয়েছিল, তাতে ছিলেন জয়শঙ্করের বাবা।

সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভায় অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই ১৯৮৪ সালের বিমান হাইজ্যাকের প্রসঙ্গ উঠে আসে। কান্দাহার  বিমান হাইজ্যাক নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “১৯৮৪ সালে একটি বিমান হাইজ্যাক হয়েছিল। তখন আমি আধিকারিক পদে ছিলাম। সরকারের তরফে যে টিম তৈরি করা হয়েছিল, তার সদস্য ছিলাম আমি। বাড়িতে ফোন করে আমি মাকে বলি, আসতে পারব না। বিমান হাইজ্যাক হয়েছে। তখনই জানতে পারি যে ওই বিমানে আমার বাবাও রয়েছেন। ওই বিমানটিকে দুবাই নিয়ে যাওয়া হয়। ভাগ্যক্রমে কেউ মারা যাননি। পরিস্থিতিটাই আলাদা হতে পারত। ইন্টারেস্টিং বিষয় হল, একদিকে আমি যেমন হাইজ্যাক পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছিলাম, তেমনই অপহৃত বিমানের যাত্রীর পরিবারেরও অংশ ছিলাম, যারা ক্রমাগত সরকারকে চাপ দিচ্ছিল।”

এই খবরটিও পড়ুন

কী ঘটেছিল সেদিন?

১৯৮৪ সালের ২৪ অগস্ট ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের আইসি ৪২১ বিমানটি দিল্লি থেকে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দেয়। চণ্ডীগঢ়ে বিমান অবতরণ করার পরই সাতজন হাইজ্যাকার বিমানটিকে অপহরণ করে। খালিস্তানি জঙ্গিরা জার্নেল সিং সহ একাধিক সন্ত্রাসীর মুক্তি এবং আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার দাবি করে।  ৩৬ ঘণ্টা ধরে ওই বোয়িং জেটটিকে পাঠানকোট থেকে লাহোর, করাচি হয়ে দুবাই নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত হাইজ্যাকাররা সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করে। মুক্তি দেওয়া হয় ৬৮ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু সদস্যকে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বাবা, আইএএস অফিসার কে সুব্রহ্মণ্যমও ওই বিমানে ছিলেন।

Next Article